মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
২৪ ঘণ্টায় আমরা সাধারণত তিনবার খাবার খাই। এর মধ্যে দুপুরের খাবার অন্যতম। তাই দুপুরের খাবারের পাতে এমন কিছু খাবারকে জায়গা করে দিতে হবে, যা শরীর ও স্বাস্থ্যের হাল ফেরানোর উপযোগী। এমনই ৫ খাবার সম্পর্কে জানুন।
ভাত, রুটিতেই ভরসা রাখুন
আমাদের দুপুরের পাতে ভাত, রুটি রাখা চাই। এই কাজটা করলেই দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট পৌঁছে যাবে। যার ফলে মিটে যাবে শক্তির ঘাটতি। শুধু তাই নয়, এসব খাবারে বেশ কিছুটা পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজও থাকে। তাই তো বিশেষজ্ঞরা সকলকে দুপুরে ভাত এবং রুটি খাওয়ার পরামর্শ দেন।
তবে তাই বলে আবার লাঞ্চে ভাত এবং রুটি একসঙ্গে খাবেন না। এই ভুলটা করলে কিন্তু শরীরে কার্ব ওভারলোড হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে। ফলে পিছু নিতে পারে একাধিক জটিল অসুখ। তাই দুপুরে ভাত বা রুটির মধ্যে যে কোনও একটিকে বেছে নিন। প্রয়োজনে অদল-বদল করেও এই দুই খাবার খাওয়া যেতে পারে। তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।
পাতে থাকুক ডাল
দুপুরবেলায় এক বাটি ডাল খেতে ভুলবেন না যেন! এক্ষেত্রে আপনার পছন্দ মতো মসুর, মটর, বিউলি, মুগ ডালকে পাতে জায়গা করে দিন। তাতেই শরীর থাকবে সুস্থ-সবল।
আমাদের পরিচিত সব ডাল হল প্রোটিনের খনি। তাই পেশিশক্তি, ইমিউনিটি বাড়াতে চাইলে নিয়মিত ডাল খেতেই হবে। শুধু তাই নয়, এসব উদ্ভিজ্জ খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবারও রয়েছে। আর এই উপাদান কিন্তু পেটের হাল ফেরানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। এর পাশাপাশি ডালে মজুত একাধিক জরুরি ভিটামিন ও খনিজের গুণে পুষ্টির ঘাটতিও মিটিয়ে ফেলা যায়। তাই আর সময় নষ্ট না করে আজ থেকেই লাঞ্চে ডাল খাওয়া শুরু করে দিন।
ডিমের জুড়ি মেলা ভার
আমাদের অতি পরিচিত ডিম হল ফার্স্টক্লাস প্রোটিনের খনি। নির্দিষ্ট করে বললে, একটা ডিমের সাদা অংশ থেকে মোটামুটি ৬ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। আর সবথেকে বড় কথা হল, এই খাবারে উপস্থিত প্রোটিন কিন্তু খুব সহজেই শরীর গ্রহণ করে নেয়। তাই দেহে এই ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি মেটাতে চাইলে ডিম খেতেই হবে।
তবে প্রোটিন ছাড়াও ডিমে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি, ই, কোলিন, আয়রন, ফোলেটের মতো একাধিক জরুরি উপাদান। আর এই সমস্ত উপাদান কিন্তু শরীরে পুষ্টির ঘাটতি মিটিয়ে ফেলার ক্ষমতা রাখে। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে আজ থেকেই দুপুরে একটা গোটা ডিমকে জায়গা করে দিন।
মাছের বিকল্প নেই
বাঙালির মাছের প্রতি ভালোবাসা প্রশ্নাতীত। তাই তো আমাদের মধ্যে অনেকেই নিয়মিত মাছ খেয়েই রসনাতৃপ্তি করেন। তবে শুধু স্বাদে নয়, এই প্রাণীজ খাবারের গুণও কিন্তু সেরার সেরা। কারণ ডিমের মতোই মাছ হল ফার্স্টক্লাস প্রোটিনের আঁতুড়ঘর। শুধু তাই নয়, এতে রয়েছে অত্যন্ত উপকারী ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান হার্ট, ব্রেনের স্বাস্থ্যের হাল ফেরায়। এর পাশাপাশি এতে রয়েছে ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি২, আয়রন, জিঙ্ক, আয়োডিন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো একাধিক জরুরি খনিজ এবং ভিটামিন। তাই শরীরের হাল ফেরাতে চাইলে নিয়মিত মাছ খেতেই হবে।
পাতে থাকুক সালাদ
দুপুরে যেই খাবারই খান না কেন, সঙ্গে এক বাটি সালাদ অবশ্যই খান। সালাদে পাতে রাখতে পারেন টমেটো, লেবু, পেঁয়াজ, শসা, লেটুসের মতো উপকারী সব খাবার। এই কাজটা করলেই দেহে ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি মিটে যাবে। এমনকি শরীরে পৌঁছে যাবে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার। যার ফলে ওজন কমতে সময় লাগবে না। তাই আর সময় নষ্ট না করে দুপুরের পাতে সালাদকে জায়গা করে দিন। তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)