বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রায় সকল বাবা-মায়েরাই চিন্তিত থাকেন শিশুর মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য নিয়ে। কেউ চিন্তা করেন শিশুর ভালো স্বাস্থ্য নিয়ে, আবার কারও চিন্তা মানসিক বিকাশ নিয়ে।
মূলত শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ দ্রুত ঘটাতে প্রয়োজন সুষম খাবার। যা নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। অনেক ক্ষেত্রে শিশুদের পড়াশোনার প্রতি মনোযোগও কমে যায়। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, বাচ্চাকে নিয়মিত ড্রাই ফ্রুটস খাওয়ানো ভালো। এছাড়াও কাঠবাদাম, আমন্ড, খেজুর, পেস্তা, অ্যাপ্রিকটের মত ড্রাই ফ্রুটস খাওয়াতে পারেন। এতে আছে ভিটামিন, মিনারেল, ক্যালসিয়াম। যা বাচ্চার স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন পাঁচটি খাবার আপনার শিশুর মানসিক বিকাশ ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে।
পালং শাক
পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফোলেট, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তবে অন্যান্য যেকোনো শাকেও প্রায় একই ভিটামিন-মিনারেলস রয়েছে। যা সামগ্রিক মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে ঠিক রাখতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। অনেক বাচ্চারাই শাক জাতীয় কোনো খাবার তেমন খেতে যায় না। সেক্ষেত্রে এগুলোকে সালাদ, স্মুদি বা স্যুপে ব্যবহার করে খাওয়ানো যেতে পারে। এতে বাচ্চার মস্তিষ্কের বিকাশ দ্রুত ঘটবে।
দই
দইকে একরকম আদর্শ খাবার বললে ভুল হবে না। বহু প্রোটিন ও প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ এই খাবারে আপনার শিশুর মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করার ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে ঠিক রাখতেও বেশ কার্যকর দই। বাচ্চাকে স্ন্যাক্স হিসেবে বা স্মুদিতে কিংবা ফলের সাথে খাওয়ানো যেতে পারে।
অ্যাভোকাডো
স্বাস্থ্যকর মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটে ভরপুর একটি ফল অ্যাভোকাডো। যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে বেশ কার্যকরী। সালাদের সঙ্গে ব্যবহার করে কিংবা টুকরো করে কেটে খাওয়ানো যেতে পারে।
চর্বিযুক্ত মাছ
স্যামন, সার্ডিন কিংবা ট্রাউটসহ প্রায় সব তেলের মাছ ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। বিশেষ করে এই মাছগুলোতে রয়েছে ডিএইচএ, যা মস্তিষ্কের বিকাশ এবং কার্যকারিতার জন্য অপরিহার্য। ভেজে কিংবা বেকড করে অন্যতম সেরা উপায় হতে পারে এই মাছগুলো। প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে দুটি খাওয়ানো যেতে পারে।
ডিম
ডিমে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে কোলিন, যা অ্যাসিটাইলকোলিনের পূর্বসূরী। এই খাদ্য উপাদান স্মৃতিশক্তি এবং মেজাজ নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি নিউরোট্রান্সমিটার। নিয়মিত সেদ্ধ করে পরিমাণমতো খাওয়ানো যেতে পারে।
ব্রকলি
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং কোলিন সমৃদ্ধ সবজি ব্রকলি। এটি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বিকাশ করে।
ডার্ক চকোলেট
বেশিরভাগ কোকোসহ যেকোনো ডার্ক চকোলেটে ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ক্যাফেইন রয়েছে। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ানোর পাশাপাশি মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। এটি মাঝে মাঝে ট্রিট হিসেবে বা পরিমিতভাবে খাওয়া উচিত। মধ্যাহ্নভোজ কিংবা নৈশভোজ শেষে ছোট অংশ খাওয়ানো যেতে পারে। এতে বাচ্চাদের মনও ভালো হবে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)