শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সুখ বিষয়টি আপেক্ষিক। সবাই যে একই কারণে সুখী বা অসুখী হয়, এমন নয়। ব্যক্তিভেদে কারণের ভিন্নতা থাকতে পারে। তবে কিছু জিনিস রয়েছে যেগুলো প্রায় সবার ক্ষেত্রেই অসস্তুষ্টি বা অসুখী হওয়ার কারণ হতে পারে। দুঃখ বাড়িয়ে দেয়, এমন জিনিসগুলোর প্রতি বেশি গুরুত্ব দেওয়াই হতে পারে অসুখী হওয়ার অন্যতম কারণ।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন বিষয়গুলো আপনাকে অসুখী করে রাখে-
অবাস্তব প্রত্যাশা : অবাস্তব প্রত্যাশা আপনাকে অসুখী করে তুলতে পারে। কারণ যা কখনো হওয়ার নয়, তাই প্রত্যাশা করলে তা কেবল দুঃখই বাড়াবে। তা আপনি মনে মনে চান বা সামাজিকভাবে আপনার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হোক না কেন, হতাশা ছাড়া সেখান থেকে আর কিছুই মিলবে না। প্রত্যাশা অনুযায়ী জীবন না চললে ব্যর্থতা ও অসন্তুষ্টি দেখা দিতে পারে।
তুলনা এবং সামাজিক মিডিয়া : ক্রমাগত অন্যদের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করা, বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে এটি অসুখী হওয়ার অন্যতম কারণ। ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মে হাইলাইট রিলগুলো অপ্রাপ্তি বা অপ্রতুলতার অনুভূতি জাগাতে পারে, এটি আপনার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবেই। আপনার নিজেকে দরিদ্র ও অসুখী মনে হতে থাকবে।
কর্ম ও ব্যক্তিগত জীবনে ভারসাম্যের অভাব : ভারসাম্যহীন কর্মজীবন অসুখী হওয়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখতে পারে। দীর্ঘ সময় কাজ করা, প্রচণ্ড ব্যস্ততা এবং কাজ থেকে বের হতে না পারা মানসিক চাপ ও ক্লান্তি ডেকে আনে। তখন কমে যেতে পারে জীবনের মান। নিজেকে আপনার অনেক বেশি অসুখী মনে হতে পারে। তাই কর্ম ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রাখুন।
অস্বাস্থ্যকর সম্পর্ক : বিষাক্ত বা অস্বাস্থ্যকর সম্পর্ক অসুখের একটি প্রধান উৎস হতে পারে। এটি বন্ধুত্ব, পারিবারিক বা রোমান্টিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেই হোক না কেন, নেতিবাচক মিথস্ক্রিয়া এবং মানসিক সমর্থনের অভাব মানসিক সুস্থতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
আর্থিক চাপ : আর্থিক চাপ এবং অস্থিরতা অসহায়ত্ব এবং উদ্বেগের অনুভূতিতে বাড়িয়ে দিতে পারে। বিল, ঋণ বা অনিশ্চিত আর্থিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ক্রমাগত উদ্বেগ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সুখকে নষ্ট করতে পারে। তাই আর্থিক সমস্যা থাকলে তা কাটিয়ে ওঠার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করুন। হতাশ হবেন না। দুঃসময় কেটে যাবেই।
মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা : মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাকে উপেক্ষা করার অভ্যাস বেশিরভাগ মানুষই। কিন্তু শরীরের মতো মনেরও যে চিকিৎসা দরকার হতে পারে, এটি যেন আমাদের বোধগম্য হয়েও হয় না। এটিও আপনাকে অসুখী করে তুলতে পারে। উদ্বেগ, বিষণ্ণতা বা অমীমাংসিত ট্রমার মতো সমস্যা থেকে সুস্থতার জন্য মনোযোগ এবং যত্ন প্রয়োজন।
শারীরিক স্বাস্থ্য সমস্যা : যখন আপনার শারীরিক স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে তখন এটি মানসিক সুস্থতাকে প্রভাবিত করতে পারে। ব্যথা, ক্লান্তি বা শারীরিক ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা হতাশ এবং অসুখী হওয়ার কারণ হতে পারে। তাই যেকোনো শারীরিক স্বাস্থ্য সমস্যায় বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)