শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
গত ৮ মে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে দৈনিক মানবজমিনের জেলা প্রতিনিধি গোলজার হোসেনের ওপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠুসহ অন্য আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জেলায় কর্মরত স্থানীয় সাংবাদিকরা।
শনিবার (১১ মে) দুপুর ১২টার দিকে মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবের আয়োজনে সংগঠনটির কার্যালয়ের সামনের সড়কে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত অর্ধ শতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে সাংবাদিকরা বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নির্বাচন ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ স্বচ্ছ করার জন্য যখন দেশের সকল বিভাগ ঐক্যবদ্ধ তখন সাংবাদিকরাও তাদের দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর। কিন্তু এত আয়োজনের মধ্যেও ভোটকেন্দ্র দখলে নেওয়ার উদ্দেশ্য হোসেন্দি ইউপি চেয়ারম্যান মিঠু, তার ভাই সরকারি কর্মকর্তা ডা. ইকবাল হক তপন ও তাদের ভাতিজা তানভির হক তুরিন ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার উপর হামলা করেন। সেই দৃশ্য ধারণ করায় মিঠু গং সাংবাদিক গোলজার হোসেনকে অবরুদ্ধ করে তাকে মারধর করেন। এ ঘটনায় মামলা হলেও ২ দিনেও কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সাংবাদিকরা আরও বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতে এত কিছু ঘটে গেলেও তাদের আচরণ ছিল বিস্ময়কর।
এছাড়া ঘটনার সময় ওই ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত সকল পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার দাবি করেন সাংবাদিকরা।
এসময় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে সাংবাদিকরা বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়েও আচরণবিধি লঙ্ঘন করে কিভাবে মিঠুর ভাই গাজীপুর আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ইকবাল হক স্বপন নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেন এবং কেন্দ্র দখলের উদ্দেশ্যে পুলিশ ও সাংবাদিকের ওপর হামলা করেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।
প্রসঙ্গত, গেল ৮ মে গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন হোসেন্দী ইউনিয়নের ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র ও হোসেন্দি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে পুলিশ ও সাংবাদিকের উপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও ব্যালটপেপার ছিনতাইয়ের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠুকে প্রধান আসামি করে পরদিন (৯ মে) পৃথক দুইটি মামলা রুজু হয় গজারিয়া থানায়। মামলা দায়েরের পর ২ দিন পেরিয়ে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)