বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১


জানালেন সিনিয়র সচিব

বঞ্চিত ৭৬৪ জন কর্মকর্তাকে পদমর্যাদা-আর্থিক সুবিধা দেবে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত:১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:২৭

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে জনপ্রশাসনে বঞ্চিত দাবি করে যেসব কর্মকর্তা আবেদন করেছিলেন, তাদের মধ্য থেকে ৭৬৪ জনকে পদোন্নতি দেওয়ার সুপারিশ করেছিল এ–সংক্রান্ত কমিটি। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী তাদের পদমর্যাদা এবং আর্থিক সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মহার্ঘ ভাতা ও বঞ্চনা নিরসন কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র সচিব এ কথা জানান।

এর আগে গত মঙ্গলবার জনপ্রশাসনে পদোন্নতিবঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনা কমিটি তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেয়।

কমিটি যাদের পদোন্নতির জন্য সুপারিশ করেছে তাদের মধ্যে সচিব পদে ১১৯ জন, গ্রেড-১ (সচিবের সমান বেতন গ্রেড) পদে ৪১ জন, অতিরিক্ত সচিব পদে ৫২৮ জন, যুগ্ম সচিব পদে ৭২ জন এবং উপসচিব পদে ৪ জন কর্মকর্তা।

সিনিয়র সচিব বলেন, আমাদের ঊর্ধ্বতন অফিস থেকে যখন আমাদের কাছে এটা পাঠিয়ে নির্দেশনা দেবে, একটা নির্দেশনা লাগবে, তবে সরকার পজিটিভ। এটা অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ে আমি বলতে পারি, আমাদের লেভেলে একদিনে ওখানে যাবে। আমরা সেটা করব।

কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ৭৬৪ জনকেই পদোন্নতি দেওয়া হবে কি না- এ বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের মান-মর্যাদা দেওয়া হবে। ঠিক পদোন্নতি নয়। তাদের একটা পদ-পদবি দিয়ে জিও জারি করা হতো। সেই জিওর ভিত্তিতে হওয়া ফাইন্যান্সিয়াল জিও'র ভিত্তিতে তারা টাকা পাবে। সরকার এ বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত, কিছুটা সময় লাগবে। তাদের (বঞ্চিত কর্মকর্তা) পদোন্নতি হবে না, পদমর্যাদা দেওয়া হবে। তাকে ওই পদে পদমর্যাদা দিয়ে জিও জারি করা হবে, আর এই হিসাবটা করবে এজি অফিস। তাদের সাইন্টিফিক নিয়ম আছে। এরপর হবে ফাইন্যান্সিয়াল জিও।

সর্বশেষ যে বেনিফিট হবে, তিনি শেষ কোন সিলিংয়ে গেলেন, ওইদিন থেকে ওই তারিখ থেকে তার পেনশন বেনিফিটটাও ওইভাবে হবে। মূল বেনিফিটটা তার পেনশনে হবে সারা জীবন, জানান তিনি।

ক্যাডার কর্মকর্তাদের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, নিচের কর্মকর্তারা কি সরকারের অংশ নয়- এ বিষয়ে মোখলেস উর রহমান বলেন, ওই কমিটির যে কার্যপরিধি দিয়েছিল, তার বাইরে আমার বলা উচিত না। এটা যদি আরো আস্তে আস্তে বাড়ে, আমার মনে হয় বাড়তেই পারে।

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)
আরো পড়ুন

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

নামাজের সময়সূচি

ওয়াক্ত সময়সূচি
ফজর ০৫:২০ ভোর
যোহর ১২:১৩ দুপুর
আছর ০৪:১২ বিকেল
মাগরিব ০৫:৫১ সন্ধ্যা
এশা ০৭:০৫ রাত

বুধবার ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫