রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
লাখো মুসল্লির অশ্রুসজল নয়নে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর তিন দিনের ইজতেমা। শেষ দিনে মুসল্লিদের ঢল নামে। সুবিশাল প্যান্ডেলের ভেতরে-বাইরে মুসল্লির উপস্থিতি ছাড়িয়ে রাস্তায় গিয়ে পৌঁছে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
মুসল্লিরা রবের প্রার্থনায় দুই হাত তুলে কান্নায় আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন। এ সময় আমিন আমিন ধ্বনিতে ইজতেমা ময়দানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। ইসলামের জীবন বিধান মেনে সারাবিশ্বে নেকীর দাওয়াত পৌঁছে দিতে মহান রবের সাহায্য কামনা করা হয়।
দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি, বিশেষ করে ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের নির্ধারিত মুসলমানদের হেফাজত কামনা করে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন দাওয়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা আব্দুল মোবিন আত্তারি।
শেষদিন শনিবার সকাল থেকে আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত দাওয়াতে ইসলামীর মুবাল্লিগণরা কোরান-হাদিসের আলোকে ইসলামের মৌলিক বিষয়ে বয়ান করেন। তার মধ্যে ইসলামী শরিয়তের বিধি বিধান, নামাজের গুরুত্ব ও বেনামাজির শাস্তি, আজান-ইকামত ও নামাজ পড়ার নিয়ম-পদ্ধতি, মা-বাবার প্রতি সন্তানের হক, জুলুম-অত্যাচারের পরিণতি, নামাজের গুরুত্ব ও বেনামাজির ভয়াবহ পরিণতি, ব্যভিচার থেকে নিজেকে রক্ষা করে কুরআন হাদিসের আলোকে জীবন গড়া, মৃত্যু, কবর ও হাশরের প্রস্ততি ইত্যাদি। এসব বয়ানের ফাঁকে ফাঁকে চলে হামদ ও নাতের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা এবং দোয়া মোনাজাত।
ইজতিমায় ধারাবাহিকভাবে এসব বিষয় তুলে ধরে বয়ান করেন দাওয়াতে ইসলামীর মোবাল্লিগ কাওসার আত্তারী, মাওলানা ইয়াসিন আত্তারী, মাওলানা শাহরুখ আত্তারী মাদানী প্রমুখ।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)