রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেছেন, অমুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা বানানোর পেছনে বহু মুক্তিযোদ্ধার হাত রয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে এটা হয়েছে। এগুলোর জন্য মুক্তিযোদ্ধা সংসদকেও সক্রিয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে এমন একটি উদ্যোগের মধ্যে যাচ্ছি যাতে যারা অমুক্তিযোদ্ধা থেকে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে তাদেরকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে পারব।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে বরিশাল সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় প্রশাসনের আয়োজনে বিভাগের সকল জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল পুনঃগঠন করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও আইন যা ছিল তা পরিবর্তনের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এগুলো উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন হলে আমরা সেগুলো কার্যকর করব। আমরা একটি অপশন রেখেছি তবে সেটা এখনো ঘোষণা করিনি। যারা স্বেচ্ছায় চলে যেতে চায় তারা যেন এ সুযোগটা গ্রহণ করে। এখানে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য তারা মুক্তিযোদ্ধা ও জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যারা সুবিধা নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মতবিনিময় সভা নিয়ে ফারুক-ই-আজম বলেন, পূর্বে বিভিন্ন উপজেলায় যে সকল পিআইও কর্মরত ছিলেন তাদের পরিবর্তন করা হয়েছে। ওই সকল স্থানে যারা যোগদান করেছেন তাদের কাছে গত তিন বছরে কি কাজ হয়েছে তার ফিরিস্তি চাওয়া হয়েছে। তার একটি ডেটাবেজ হচ্ছে মন্ত্রণালয়ে। এবার যে বরাদ্দ হয়েছে তা দিয়ে যথাযথভাবে যাতে কাজ করতে পারে এজন্য দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যে সকল উন্নয়ন কাজ অধিকতর জনসম্পৃক্ত জনগণের কল্যাণে সেই কাজগুলো অগ্রাধিকার হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। সেই ক্ষেত্রে আরও বরাদ্দের প্রয়োজন হলে জবাবদিহিতার আলোকে তার মূল্যায়ন করা হবে।
মতবিনিময় সভায় বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাওছার, রেঞ্জ ডিআইজি মো. মঞ্জুর মোর্শেদ আলম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনসহ বিভাগের সকল জেলার কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)