সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১ মাঘ ১৪৩১
তিন দিনের সফরে আজ (৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় আসছেন ব্রিটিশ মানবাধিকারবিষয়ক রাষ্ট্রদূত এলেনর স্যান্ডার্স। মানবাধিকার ও গণতন্ত্র সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করার লক্ষ্যে এটি ঢাকায় তার প্রথম সফর।
এদিন ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
হাইকমিশন জানায়, সফরকালে ব্রিটিশ মানবাধিকারবিষয়ক রাষ্ট্রদূত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, মানবাধিকার রক্ষাকারী এবং অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তিনি মানবাধিকার দূত সরকারের উপদেষ্টা এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা, মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা করবেন।
রাষ্ট্রদূত এলেনর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবাধিকারবিষয়ক একটি সেমিনারে অংশ নেবেন এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। সেমিনারে রাষ্ট্রদূত এবং শিক্ষার্থীরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা এবং সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সুরক্ষা নিশ্চিতকরণসহ মৌলিক স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করবেন।
সফরকালে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে খাদ্য বিতরণ, মহিলা স্বাস্থ্য ও শিক্ষা কার্যক্রম এবং এলপিজি বিতরণসহ যুক্তরাজ্যের অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পগুলো তদারকি করার জন্য কক্সবাজারে যাবেন।
রাষ্ট্রদূত এলেনর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং নির্যাতনের জন্য জবাবদিহিতা জোরদার করার জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের অফিসের জন্য যুক্তরাজ্যের নতুন তহবিল ঘোষণা করবেন।
এলেনর স্যান্ডার্স বলেন, যুক্তরাজ্য মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, দীর্ঘমেয়াদী সংস্কার এগিয়ে নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে, যা মানবাধিকারের পাশাপাশি প্রবৃদ্ধির ওপর ভিত্তি করে তৈরি।
তিনি বলেন, আমার সফরের মাধ্যমে, আমরা জবাবদিহিতা এবং ন্যায়বিচার, ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, লিঙ্গ সমতা এবং শ্রম অধিকারের মতো বিভিন্ন অগ্রাধিকারমূলক বিষয়গুলোতে যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ সহযোগিতা আরও জোরদার করার আশা রাখি।
ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, আমি যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত। এই সফর বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের গভীর বন্ধুত্ব এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্য আরও সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যত তৈরিতে দীর্ঘস্থায়ী প্রতিশ্রুতির আরেকটি উদাহরণ।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)