সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১
ছবি সংগৃহীত
নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
রোববার (৯ মার্চ) আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আইন উপদেষ্টা বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে কিছু পরিবর্তন আনার জন্য আমরা প্রস্তাব করেছি। এখন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে। পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে ১৫ দিনের মধ্যে ধর্ষণ মামলার তদন্ত কাজ সম্পন্ন করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তদন্ত কাজ শেষ করতে হবে। একইসঙ্গে ৯০ দিনের মধ্যে মামলার বিচার কাজ শেষ করতে হবে।
আসিফ নজরুল বলেন, শুধু এ ঘটনা না, নারীর প্রতি সব ধরনের সহিংসতা রোধকল্পে আমরা কিছু আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তা করেছি। আজ সকালে মিটিং করে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে। আমরা চেষ্টা করব কয়েক দিনের মধ্যে আইনগত পরিবর্তন আনার জন্য। পরিবর্তন বলতে, আমরা দেখতাম নারীর প্রতি সহিংসতা, নির্যাতন, রেপের মতো মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত কাজ সম্পন্ন করতে না পারলে তাকে পরিবর্তন করে আরেকজনকে দেওয়া হতো, সে যদি না পারে তাহলে আরেকজনকে দেওয়া হতো। এরকম করে অনেকবার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন হতো। এতে মামলা দীর্ঘায়ত হতো ও বিচার কাজ করতে দেরি হতো।
তিনি বলেন, আমরা যে সংশোধনী আনব সেখানে তদন্তকারী কর্মকর্তা, যাকে নিদিষ্ট করা হয়েছে তাকেই তদন্ত কাজ করতে হবে এবং নিদিষ্ট সময়ের মধ্যেই করতে হবে। তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করা যাবে না। একইসঙ্গে তদন্তের সময় অর্ধেক করা হচ্ছে। আগে ছিল ৩০ দিন, এখন সেটা ১৫ দিন করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, বিচারের সময়ও অর্ধেক করে দেওয়া হয়েছে। আগে ছিল ধর্ষণের মামলা ১৮০ দিনের মধ্যের বিচার করতে হতো, এখন সেটা অর্ধেক করে ৯০ দিন করা হচ্ছে। ধর্ষণের মামলায় ৯০ দিনের মধ্যে বিচার করতে হবে, ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত করতে হবে।
আসিফ নজরুল বলেন, বাংলাদেশে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা দমনে সরকার সাম্প্রতিক সময়ে সংগঠিত সব ধর্ষণের মামলার দ্রুত বিচার নিষ্পত্তিকল্পে মামলাগুলোকে নিয়মিত পর্যালোচনায় আনছে। রাস্তাঘাটে যৌন নিপীড়ন ও হয়রানি বন্ধ করতে পুলিশ দ্রুত আলাদা হটলাইন চালু করবে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)