সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
এই অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, রংপুরে আমাদের আসন্ন এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নেপাল ও ভুটানের রোগীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। আমরা আঞ্চলিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও অভিন্ন সমৃদ্ধিতে বিশ্বাস করি।
সোমবার (১২ মে) ঢাকায় নেপাল দূতাবাস আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশ সফররত নেপালের ফেডারেল পার্লামেন্টের হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান এবং ভারতের সাত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের মধ্যে একটি সমন্বিত অর্থনৈতিক কৌশলের আহ্বান জানিয়েছেন এবং জলবিদ্যুৎ, স্বাস্থ্যসেবা ও সড়ক সংযোগের ক্ষেত্রে সীমান্ত সহযোগিতার সম্ভাবনার ওপর জোর দিয়েছেন।
প্রফেসর ইউনূস শেয়ারিং অবকাঠামো এবং শক্তি উদ্যোগের মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর জরুরিতার ওপর জোর দেন। ‘বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান এবং সেভেন সিস্টার্সের জন্য একটি সমন্বিত অর্থনৈতিক পরিকল্পনা থাকা উচিত,’ তিনি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর উল্লেখ করে বলেন। ‘আমাদের আলাদা হওয়ার চেয়ে একসাথে অর্জন করার বেশি কিছু আছে।’
জলবিদ্যুৎ খাতের ব্যাপারে বাংলাদেশ ও নেপালের সহযোগিতা অন্যতম আলোচ্য বিষয় ছিল। ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে নেপাল থেকে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির জন্য গত অক্টোবরে স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ-নেপাল-ভারত ত্রিপক্ষীয় বিদ্যুৎ বিক্রয় চুক্তি উল্লেখ করে, উভয় পক্ষই বৃহত্তর মাত্রায় আরো জলবিদ্যুৎ উদ্যোগ নেওয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানা খাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গভীর করার ব্যাপারে নেপালের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সব সংসদ সদস্য বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায়। আমরা আমাদের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব শক্তিশালী করতে এবং মানুষের-থেকে-মানুষের সংযোগ বাড়ানোর ব্যাপারে আগ্রহী।’
ডেপুটি স্পিকার বাংলাদেশে নেপালি শিক্ষার্থীদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতির কথা তুলে ধরেন, উল্লেখ করেন যে, বর্তমানে ২,৭০০ এর বেশি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোতে, মূলত মেডিকেল কলেজে পড়ছে। তিনি শিক্ষার মানের প্রশংসা করেন এবং দুই দেশের মধ্যে আরো শিক্ষাগত বিনিময় এবং একাডেমিক সহযোগিতার আহ্বান জানান।
উভয় পক্ষ শারীরিক সংযোগ বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা করেছে। প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেছেন যে, নেপালের সাথে সরাসরি সড়ক সংযোগ উন্নত করলে বাণিজ্য খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে এবং সমগ্র অঞ্চল জুড়ে মানুষ ও পণ্যের চলাচল সহজ হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যম ভন্ডারি, প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ইশরাত জাহান।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)