শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
আগামী দুয়েক দিনের মধ্যেই ঢাকা ও চট্টগ্রামের গ্যাস সংকট কেটে যাবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
রোববার (২১ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
নসরুল হামিদ বলেন, শিগগিরই ঢাকা ও চট্টগ্রামের গ্যাস সংকট কেটে যাবে। সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে।
কিছু দিন ধরে রান্নার গ্যাস ছাড়াও সিএনজি, শিল্পকারখানা এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রেও পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছে না। সবমিলিয়ে দেশে চলছে তীব্র গ্যাস সংকট।
ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের প্রতিবেদনে বাংলাদেশে অর্থনীতির জন্য পাঁচটি ঝুঁকির মধ্যে জ্বালানি স্বল্পতাকে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, গ্যাস সংকটের কারণ নিজস্ব জ্বালানির উৎপাদন কমেছে আর আমদানিনির্ভরতা বেড়েছে।
ডলার সংকটের কারণে অতিরিক্ত আমদানি করাও সম্ভব হচ্ছে না। আগামীতে জ্বালানি সংকট মোকাবেলা এবং আমদানি করে চাহিদা পূরণ করাই হবে বাংলাদেশের বড় চ্যালেঞ্জ।
গত শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক ক্ষুদে বার্তায় সারাদেশে গ্যাসের স্বল্প চাপ বিরাজ করায় গ্রাহকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে পেট্রোবাংলা।
ক্ষুদে বার্তায় বলা হয়েছে, মহেশখালীস্থ এলএনজি এফএসআরইউ’র কারিগরি ত্রুটির কারণে চট্টগ্রাম এলাকায় সকাল থেকে গ্যাস সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে এবং দেশের অন্যান্য এলাকায় শীতের কারণে গ্যাসের স্বল্প চাপ বিরাজ করছে।
বার্তায় আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে দ্রুত মেরামতের লক্ষ্যে কাজ চলছে। জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ, পেট্রোবাংলা এবং কোম্পানিগুলো সার্বক্ষণিক তদারকি করছে।
দেশীয় গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। সম্মানিত গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)