শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত দেশব্যাপী ১ হাজার ২৬২টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ২৫ কোটি টাকার বেশি জরিমানা আদায় করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। একই সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শত শত অবৈধ ইটভাটা, নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদনকারী কারখানা ও দূষণকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান।
এই সময়ের মধ্যে ৪৮৪টি অবৈধ ইটভাটার চিমনি ভেঙে তাদের কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া ২১৬টি ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর নির্দেশনা জারি করা হয় এবং ১৩৩টি ইটভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়। পাশাপাশি, ১৬টি পলিথিন উৎপাদনকারী কারখানার বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সেগুলো সিলগালা করা হয়।
দূষণকারী ৯৮টি প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ বা গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। অভিযান চলাকালে ২ জনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া ৬টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৮টি ট্রাকে থাকা সীসা ও ব্যাটারি গলানোর যন্ত্রপাতি জব্দ করে কারখানাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।
নিষিদ্ধ পলিথিন বিরোধী অভিযানে ২০২৪ সালের ৩ নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত পরিচালিত ৪৯৬টি মোবাইল কোর্টে ৯২৯টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এসব অভিযানে আদায় করা হয় ৬৮ লাখ ৭৯ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা এবং জব্দ করা হয় ২৫১.৫৪ কেজি পলিথিন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় কালো ধোঁয়ার বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানে ৪টি মামলায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এসময় চালকদের সতর্কও করা হয়।
শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে ঢাকাসহ যশোর, রাজবাড়ী ও খুলনায় পরিচালিত ৫টি মোবাইল কোর্টে ১৯টি মামলায় ২৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং ২৭টি হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করা হয়।
বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০২২ অনুযায়ী ময়মনসিংহে পরিচালিত একটি মোবাইল কোর্ট এক মামলায় ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে।
একই দিনে নারায়ণগঞ্জে নিষিদ্ধ পলিথিনবিরোধী অভিযানে ২টি মামলায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং ৯ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়। অভিযানে দোকান মালিক ও সাধারণ জনগণকে সতর্কও করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের পরিবেশ সুরক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)