বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২


১৪ আগস্টকে ঔপনিবেশিকতা মুক্তি ও প্রথম স্বাধীনতা দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত:১৩ আগষ্ট ২০২৫, ২১:০১

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

জাতির ঐতিহাসিক আত্মপরিচয় পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং স্বাধীনতার অখণ্ড ইতিহাস সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে ১৪ আগস্টকে ঔপনিবেশিকতা মুক্তি ও বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীনতা দিবস ঘোষণা করে যথাযোগ্য মর্যাদায় রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপনের আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ।

বুধবার এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান দলটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছিল ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট। এদিন এই ভূখণ্ড প্রায় দুই শতাব্দীর ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের শৃঙ্খল থেকে মুক্তি লাভ করে। তখনই আমরা প্রথমবারের মতো একটি স্বতন্ত্র ও স্বাধীন রাষ্ট্র কাঠামোর অংশীদার হই, যা আমাদের জাতীয় পরিচয়ের প্রথম সোপান।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের সময় তার পূর্বাংশ হিসেবে যে ভূখণ্ড পাওয়া গিয়েছিল, সেটিই বর্তমান বাংলাদেশের ভৌগোলিক কাঠামো। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ছিল সেই প্রথম স্বাধীনতার ধারাবাহিকতায় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি অর্জনের চূড়ান্ত সংগ্রাম, যা আমাদের স্বকীয় সত্তাকে একক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। কিন্তু এর ভৌগোলিক ও রাষ্ট্রীয় অস্তিত্বের সূচনা হয়েছিল ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্টে। তাই স্বাধীনতার ইতিহাসে এ দিনের গুরুত্ব অনস্বীকার্য।

প্রথম স্বাধীনতার ছয় প্রধান নেতা—আল্লামা ইকবাল, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক, লিয়াকত আলী খান, খাজা নাজিমউদ্দীন ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী—কে গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করা হয় বিবৃতিতে। তাদের অসামান্য প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা ও আত্মত্যাগের ফলেই এই অঞ্চলের মানুষ পরাধীনতার অন্ধকার থেকে মুক্তির প্রথম আলো দেখেছিল বলে উল্লেখ করা হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২৬ মার্চ ১৯৭১ আমাদের চূড়ান্ত স্বাধীনতা ঘোষণার দিন এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস হিসেবে যেমন জাতীয় জীবনে গৌরবোজ্জ্বল মাইলফলক হয়ে আছে, তেমনি ১৪ আগস্টও স্বাধীনতার সূচনাপর্ব হিসেবে পূর্ণ মর্যাদা পাওয়ার দাবিদার। নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার এই অখণ্ড ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস জানানো জাতীয় ও নৈতিক দায়িত্ব। তাই রাজনৈতিক মতপার্থক্যের ঊর্ধ্বে উঠে রাষ্ট্রীয়ভাবে ১৪ আগস্টকে বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীনতা দিবস হিসেবে ঘোষণা ও উদযাপনের আহ্বান জানানো হয়।

১৪ আগস্টের কর্মসূচি

জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সহকারী সদস্য সচিব আব্দুস সালাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ১৪ আগস্টকে ঔপনিবেশিকতা মুক্তি ও বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করবে দলটি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—

১. সকালে জাতীয় তিন নেতার মাজার জিয়ারত
২. জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রীতি সম্মেলন
৩. বাদ আসর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিল

সম্পর্কিত বিষয়:

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)
আরো পড়ুন

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

নামাজের সময়সূচি

ওয়াক্ত সময়সূচি
ফজর ০৪:১৩ ভোর
যোহর ১২:০৪ দুপুর
আছর ০৪:৩৯ বিকেল
মাগরিব ০৬.৩৭ সন্ধ্যা
এশা ০৭:৫৪ রাত

বুধবার ১৩ আগস্ট ২০২৫