মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক কর্নেল শরীফুল এম খান পদোন্নতি পেয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হয়েছেন। গত ১৩ জুন ওয়াশিংটন ডিসির পেন্টাগনে এক অনুষ্ঠানে এ পদোন্নতি ঘোষণা করা হয়।
এদিকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হওয়ায় শরিফুল এম খানকে অভিনন্দন জানিয়েছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দূতাবাসের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরিফুল এম খানকে অভিনন্দন, যিনি আমেরিকান শ্রেষ্ঠত্বের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ও বাংলাদেশি-আমেরিকান সম্প্রদায়ের জন্য এক পথিকৃৎ। যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীতে এ পদে উন্নীত হওয়া প্রথম বাংলাদেশি-আমেরিকান হিসেবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খান মাতৃভূমি রক্ষায় ও যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা জোরদারে তার নিষ্ঠা ও সেবার স্বাক্ষর।
জানা যায়, সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত এম ওসমান সিদ্দিক ১৯ আগস্ট পেন্টাগনে আয়োজিত পদোন্নতি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি এক্সে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের সন্তান শরীফুল খান আজ ইতিহাস তৈরি করলেন। মার্কিন সেনাবাহিনীতে এই প্রথম কোনো বাংলাদেশি-আমেরিকান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে উন্নীত হলেন।’
শরীফুল খানের শপথ পাঠ করান যুক্তরাষ্ট্র স্পেস ফোর্সের ভাইস চিফ অব স্পেস অপারেশনস জেনারেল শন ব্রাটন। বর্তমানে তিনি পেন্টাগনে ‘গোল্ডেন ডোম ফর আমেরিকা’র ডিরেক্টর অব স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ পদে শরীফুল খান কৌশল, নীতি, পরিকল্পনা ও ক্রস-ফাংশনাল কার্যক্রম সমন্বয় করার পাশাপাশি শিল্প, একাডেমিয়া, ন্যাশনাল ল্যাব ও সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা সক্ষমতা উন্নয়নে কাজ করছেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফুল খান ১৯৯৭ সালে ইউনাইটেড স্টেটস এয়ার ফোর্স একাডেমি থেকে পলিটিক্যাল সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে তিনি ওয়েবস্টার ইউনিভার্সিটি, ন্যাশনাল ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স কলেজ, স্কুল অব অ্যাডভান্সড এয়ার অ্যান্ড স্পেস স্টাডিজ, নেভাল ওয়ার কলেজ, এমআইটি ও জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়সহ মার্কিন সামরিক ও বেসামরিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাধিক উচ্চতর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
কর্মজীবনে শরীফুল খান মহাকাশ নিয়ন্ত্রণ, স্যাটেলাইট অপারেশন, স্পেস সিস্টেম, লঞ্চ ও ন্যাশনাল রিকনাইসেন্স অফিসে স্যাটেলাইট অপারেটর হিসেবে কাজ করেছেন। ২০০১ সালে তিনি কুয়েতের আলি আল সালেম বিমানঘাঁটিতে মোতায়েন হন এবং ২০০৭ সালে অপারেশন সাইলেন্ট সেনট্রির সময় ডিপ্লয়মেন্ট কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি স্কোয়াড্রন ও উইং উভয় পর্যায়ের কমান্ড করেছেন। কলোরাডোর শ্রিভার স্পেস ফোর্স বেসে ৩১০তম স্পেস উইং –এর কমান্ডার হিসেবে প্রায় দেড় হাজার সামরিক সদস্য ও ১৯টি ইউনিটের কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। এ ছাড়া তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতি বিভাগেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)