মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২


ফয়জুল করীম

দেশে নীতি-আদর্শের পরিবর্তন না হলে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত:৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:১৮

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, স্বাধীনতার মূল উদ্দেশ্য ছিল ইসলাম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ন্যায়বিচার ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও চাঁদাবাজ, দখলবাজ, জুলুমবাজদের কারণে সাধারণ মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। দেশে নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন না হলে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না।

শনিবার (৪ অক্টোবর) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত ‘স্বাধীনতার পথরেখা – ৪৭, ৭১, ২৪: প্রেক্ষিত আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বৈঠকে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, মুসলিম লীগ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির শাসন জনগণ দেখেছে। তাদের শাসনে সাধারণ মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। শুধু দেশ, দল ও নেতা পরিবর্তন করে শান্তি আসবে না। শান্তি তখনই আসবে, যখন আমরা নীতি-আদর্শের পরিবর্তন আনতে পারব এবং ইসলামের সুমহান আদর্শকে রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনে প্রতিষ্ঠা করতে পারব।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৪৭ দেশ ভাগ হয়েছিল দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে। তথা পাকিস্তান হবে মুসলমানদের ও হিন্দুস্তান হবে সনাতনীদের। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। ফের ১৯৭১ সালে পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর জুলুমের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেছিল।

তিনি বলেছেন, ১৯৪৭ সালে দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে দেশভাগ এবং ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার মাধ্যমে আমরা ভৌগোলিক মুক্তি পেলেও মানুষের মুক্তি ও কল্যাণ এখনো সুদূর পরাহত। দেশের স্বাধীনতা এখনও পূর্ণতা পায়নি।

তিনি আরও বলেন, মিথ্যার জৌলুস আর অন্যায়ের মরিচিকার পেছনে ছুটে চলা যুবসমাজকে ফেরাতে হবে ধ্বংসের পথ থেকে। সাময়িক স্বার্থচিন্তার কুহেলিকা ভেদ করে যুবসমাজের চোখে জ্বালতে হবে চিরমুক্তির প্রোজ্জ্বল আলো। আমরা ঐতিহাসিক আওয়াজ তুলেছিলাম ‘শুধু নেতা নয়, নীতির পরিবর্তন চাই’। হেরার আলোকচ্ছটায় উদ্ভাসিত সে মশালই পারবে নব্য জাহিলিয়াতের অন্ধকারে নিমজ্জিত সমাজকে আলোয় আলোয় ভরে দিতে।

ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমদ সাকীর সঞ্চালনায় বৈঠকে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডক্টর আবদুল মোমেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ইফতেখার তারিক, ব্র্যাকের এইচ আর অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট প্রাক্টিশনার ফারহান বাশার।

বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন– বংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের সভাপতি মুফতী জাহিদুজ্জামান, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, যুব অধিকার পরিষদের সাধারন সম্পাদক নাদিম হাসান, বাংলাদোশ ইসলামী যুব সমাদের সাধারন সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাসুদ খান, ইসলামী যুব মজলিসের সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শাব্বির আহমদ প্রমুখ।

সম্পর্কিত বিষয়:

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)
আরো পড়ুন

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

নামাজের সময়সূচি

ওয়াক্ত সময়সূচি
ফজর ৪:৩৩ ভোর
যোহর ১১:৫১ দুপুর
আছর ৪: ১২ বিকেল
মাগরিব ৫: ৫৫ সন্ধ্যা
এশা ০৭: ০৮ রাত

মঙ্গলবার ১৪ অক্টোবর ২০২৫