সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২
ফাইল ছবি
‘ঢাকায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো আন্দোলন থাকবেই। কিন্তু এতে যে আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের ভোগান্তি বাড়ে, সেটা কেউ ভাবে না। আজকের আন্দোলনের জন্য সকালে অফিসে আসতে এক ঘণ্টা লেট হয়েছে। কারোর আবার বেশি সময়ও লেগেছে।’
পল্টন মোড়ে দাঁড়িয়ে এভাবেই ভোগান্তির কথা বলছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী মাইনুল ইসলাম। প্রেসক্লাবের বিপরীতের তোপখানা রোডের একটি ভবনে অফিস তার।
মাইনুল বলেন, আমি তো আর জানতাম না যে আজ প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলন আছে। সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য বের হয়েছি, এরপর কাকরাইল মসজিদের সামনে এসে আটকে গেছি। বাস আগাচ্ছে না, কারন রাস্তা বন্ধ। পরে বাস থেকে নেমে হেঁটে অফিসে আসতে হয়েছে।
রোববার (১২ অক্টোবর) সকাল থেকেই মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বাড়ানোর দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। এতে করে পল্টন থেকে কদম ফোয়ারার রাস্তায় যানচলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষজন।
সরেজমিনে প্রেসক্লাব,পল্টন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিতে হাজার মানুষ এ এলাকায় জড়ো হয়েছেন। প্রেসক্লাব রোডের পাশাপাশি বিপরীত পাশের তোপখানা রোডেও গাড়ি চলছে ধীরগতিতে। আন্দোলনের কারনে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষেরা।
প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে কথা হয় চাকরিজীবী ফরহাদ হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, প্রেসক্লাবের অপজিটেই আমার অফিস। সাধারণত পল্টন হয়েই অফিস এসে থাকি। কিন্তু আজ আন্দোলনের জন্য রাস্তাও বন্ধ, আর আশেপাশের রাস্তায় প্রচুর জ্যাম। বাসে বসেই শুনলাম আন্দোলন চলে, রাস্তা বন্ধ। তারপর গুলিস্তান মোড় থেকে হেঁটে আসতে হয়েছে।
তিনি বলেন, এসব আন্দোলন সাধারণ মানুষের কষ্ট আর ভোগান্তিই বাড়ায়। বিশেষত প্রেসক্লাব এলাকায় প্রায় দিনই আন্দোলন লেগে থাকে। ফলে এখানে আমরা যারা অফিস করি, তাদের ভোগান্তি যেন নিত্যদিনের সঙ্গী।
পল্টন মোড়ের কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য জানান, এখান থেকে কদম ফোয়ারা পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ থাকায় আমরা যানবাহনকে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে বলছি। আন্দোলন শেষ হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের এবার মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসাভাতা ও উৎসবভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি করছেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)