মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২
ছবি : সংগৃহীত
ডিপিডিসি ও ডেসকো অফিসারদের বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিদ্যুৎ ভবনের গেটে মানববন্ধন করে সাধারণ ঠিকাদার বৃন্দ।
২০ অক্টোবর ২০২৫ সকাল ১২ টায় বিদ্যুৎ ভবনের নিচে মানববন্ধন অনিশ্চিত হয়। সাধারণ ঠিকাদার বৃন্দের মানবন্ধনে ঠিকাদার বৃন্দ বলেন ডিপিডিসি ও ডেসকো অফিসের বৃন্দ আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর। তারা আওয়ামী আমলের দুর্নীতির সাথে জড়িত এবং বহাল তবীয়াতে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তাই অনতিবিলম্বে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে অফিসারদের অপসারণ দাবি করেন।
অফিসারদের দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রতিবাদে পূর্ব বাড্ডায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ হঠাৎ বিচ্ছিন্ন, থানায় অভিযোগ কপি উপস্থান করেন।
১৯/১০/২০২৫ তারিখের অভিযোগ কপি সংযুক্তি।
রাজধানীর পূর্ব বাড্ডায় “এন. এস. কর্পোরেশন” নামের একটি বৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ সংযোগ হঠাৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি)-এর কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মোঃ আব্দুল হামিদ শাহবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন, তিনি একজন ব্যবসায়ী এবং দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব বাড্ডা এলাকায় “কিশলয় ভবন”-এ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। তার প্রতিষ্ঠানের নামে ডিপিডিসির অধীনে মোট ১৪টি ডিজিটাল সার্ভিস মিটার স্থাপন রয়েছে, যার সবকটির বিল নিয়মিত পরিশোধ করা হয়।
কিন্তু গত ১৬ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ডিপিডিসির একদল কর্মকর্তা ও কর্মচারী তার প্রতিষ্ঠানে এসে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
অভিযোগে বলা হয়, ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন— রাশেদ হাসান বাবু, আনিস হোসেন, ফিরোজ আহমেদ, মিন্টু, কাজী রাব্বানী, শাহবুদ্দিন, জাকির হোসেন, হোসেন আলম, আবুল হাসানসহ কয়েকজন কর্মকর্তা।
বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের ফলে ব্যবসা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় এবং প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয় বলে অভিযোগ করেন মোঃ আব্দুল হামিদ।
তিনি জানান, বিষয়টি সমাধানের জন্য বারবার অনুরোধ করেও কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ঘটনার সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন না করার অনুরোধ করা হলেও কর্মকর্তারা “উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ” বলে সংযোগ বন্ধ করে দেন।
এ বিষয়ে তিনি শাহবাগ থানায় আবেদন করে তদন্ত ও আইনগত পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তার বৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপন করা হয় এবং ভবিষ্যতে এমন অন্যায় আচরণ বন্ধ হয়।
থানার এক কর্মকর্তা জানান, লিখিত অভিযোগটি গৃহীত হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে ব্যানারে উল্লেখিত অফিসারদের অপসারণ দাবি করেন, অন্যথায় তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)