মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীতের পুরান ঢাকার কদমতলী থানার শ্যামপুর রেললাইনের পশ্চিম পাশে ভাঙারি বাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনটি বিদেশি পিস্তল, বিপুল পরিমাণ গুলি ও মাদকদ্রব্যসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিবি বলছে, মাদকের সামরাজ্য টিকিয়ে রাখতে অস্ত্রের ব্যবহার করতেন কারবারিরা। এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস পেতেন না।
গ্রেপ্তাররা হলেন— মো. জাহাঙ্গীর আলম টিটু (৩৬), মো. আব্দুর রাজ্জাক শানু (৩৮) ও মো. মামুন (৩৭)। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি ম্যাগাজিন, ৬০ রাউন্ড গুলি, ৮০০ পিস ইয়াবা এবং সাড়ে ৮ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিবি রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আমীর খসরু এসব তথ্য জানান।
আমীর খসরু বলেন, গ্রেপ্তার তিনজনই এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি। তারা মাদক স্পট নিয়ন্ত্রণ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য এসব অস্ত্র ব্যবহার করতেন। তারা মাদকের স্পটকে আড়ত হিসেবে বলতেন। তাদের আস্তানা থেকে ৮০০ পিস ইয়াবা ও সাড়ে ৮ কেজি গাজা উদ্ধার করা হয়েছে। তারা পাইকারি হারে মাদক বিক্রি করতেন। শুধু মাদকের কারবারের বাইরেও এসব অস্ত্র কি কি ক্ষেত্রে অস্ত্র ব্যবহার করা হতো সে বিষয় আমরা তদন্ত করে সব বিষয় বের করা হবে।
অস্ত্র ও মাদকের উৎস সম্পর্কে জানতে চাইলে চাইলে ডিসি আমীর খসরু বলেন, আপনারা জানেন ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে থানা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্র লুট হয়েছে। আমরা মিলিয়ে দেখবো এইগুলো পুলিশের অস্ত্র কি না। এছাড়া অন্যান্য বিষয়ে আমরা তদন্ত করে দেখবো।
তিনি আরও বলেন, তাদের সঙ্গে কেউ ব্যবসা থেকে সরে যেতে চাইলে তাদের শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে, যে তাদের সঙ্গে কেন থাকবে না। মাদকের কারবার পরিচালনার ক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতা না করায় নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগীও আমরা পেয়েছি। আগে মাদকের কারবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। তাদের থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। অস্ত্রগুলো ভাড়ার কাজে ব্যবহৃত হয়েছে কি না। সার্বিক বিষয়গুলো আমরা তদন্তে বের করে আনার চেষ্টা করবো।
আন্ডারওর্য়াল্ডে অস্থিরতা বাড়ছে। এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে যে ক্লিংগুলো হয়েছে সেই সবগুলোই কিন্তু ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সফলভাবে প্রত্যেকটা ঘটনা উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে, অস্ত্র উদ্ধার করেছে। সর্বশেষ পুরান ঢাকায় যে মার্ডারটা হয়েছে সেখানেও গোয়েন্দা পুলিশ অস্ত্র উদ্ধার করেছে এবং আসামিদের গ্রেপ্তার করেছে। এর আগে ২৬ টুকরো লাশ উদ্ধারের ঘটনাও কিন্তু আমরা উদঘাট করেছি। আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকে কোনো ঘটনা ঘটলে তার নেপথ্যে কারণ উদঘাটন করে আনা।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারদেরব বিরুদ্ধে দুটি করে অস্ত্র ও মাদক মামলা আছে। এছাড়া এই ঘটনায় কদমতলী থানায় পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)