সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ছবি : সংগৃহীত
আমরা দুর্নীতি চাই কি-না এমন বিষয়ে গণভোট হলে শতভাগ ভোট পড়বে ‘না’ এর পক্ষে, তারপরও দুর্নীতি কেন হচ্ছে এমন মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) হবিগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দুদকের ১৯২তম গণশুনানিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি কমানো, সরকারি সেবার মান উন্নয়ন এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই গণশুনানির আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেন, যদি এখানে গণভোট হয় আমরা দুর্নীতি চাই কি না—তাহলে শতভাগ ভোট পড়বে ‘চাই না’ এর পক্ষে। কিন্তু তারপরও দুর্নীতি হচ্ছে কেন? আমাদের ‘চাই না’ আর বাস্তবে যা হচ্ছে, তার মাঝের ফাঁক পূরণ করতেই এই গণশুনানি। এটি এক ধরনের জাগরণী অনুষ্ঠান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দুদক কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী বলেন, সেবাগ্রহীতারা তাদের প্রাপ্য সেবা পাবেন এটি তাদের অধিকার। সেবাদাতারা সেবা দিতে আইনগতভাবে বাধ্য। কিন্তু ব্যত্যয় ঘটলেই সাধারণ মানুষ নিপীড়নের শিকার হন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন দুদক সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীম, দুদক মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন এবং হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এ.এন.এম সাজেদুর রহমান। গণশুনানির সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন।
দিনব্যাপী আয়োজনে হবিগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা সেবা বঞ্চিত ও হয়রানির শিকার মানুষ তাদের অভিযোগ সরকারি দপ্তরের প্রধানদের সামনে উপস্থাপন করেন।
দুদক জানায়, গণশুনানিতে মোট ৮১টি অভিযোগের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ৩টি অভিযোগ অনুসন্ধানে নেওয়া হয়েছে। ৬০টি অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে নিষ্পত্তি। বাকি অভিযোগগুলো প্রতিবেদন দাখিল সাপেক্ষে নিষ্পত্তি করা হবে বলে জানিয়েছে দুদক।
গণশুনানিকে কেন্দ্র করে জেলায় সপ্তাহজুড়ে মাইকিং, পোস্টার, লিফলেট বিতরণ, অভিযোগ বাক্স স্থাপনসহ ব্যাপক প্রচারণা চালায় দুদক। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাড়া দেখা যায়।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)