মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে লাগা ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১৬টি ইউনিট। পানি সংকটের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। এ অবস্থায় আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে কড়াইল বস্তির অনেক ঘর। স্বল্প আয়ের মানুষদের ঘর পুড়ে যাওয়ার কারণে তারা কান্নায় ভেঙে পড়ছেন।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাসিন্দাদের বস্তির ভেতরে যেতে দিচ্ছে না ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ও দুর্ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘটনাস্থল থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বস্তির যেসব ঘরে এখনো আগুন লাগেনি কিন্তু আগুন লাগার আশঙ্কা রয়েছে, সেসব ঘর থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করছেন অনেকে। কেউ মাথায় করে কেউ হাতে করে তাদের জিনিসপত্র বের করছেন।
আগুনে ঘর পুড়েছে বস্তির বাসিন্দা লাভলী বেগমের। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমার সব আগুনে পুড়ে শেষ। সাত বছর ধরে এই বস্তিতে আছি। অনেক কষ্টে তিল তিল করে জিনিসপত্র কিনেছিলাম। ঘরে টিভি, ফ্রিজসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র কিনেছিলাম। মাসে মাসে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে হয়। এ আগুনে আমার সব শেষ হয়ে গেল।
বস্তির বাসিন্দা লাকি আক্তার পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তিনি বলেন, শুনেছি আমার ঘর পুড়ে গেছে। সব জিনিস নাকি পুড়ে গেছে। এখন আমি কীভাবে কী করব, বুঝতে পারছি না।
একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লাকি ও লাভলীর মতো অনেক নিম্ন আয়ের মানুষ বসবাস করে এই বস্তিতে। আজকের এই ভয়াবহ আগুনে তাদের অনেককে পথে বসতে হবে।
ফায়ার সার্ভিসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কড়াইল বস্তিতে লাগা আগুন বেশ বড় আকারে রূপ নিয়েছে। ক্রমশ চারপাশে ছড়িয়ে পড়ছে এটি। পানির অভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের। আগুন নেভাতে মোট ১৬টি ইউনিট কাজ করছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)