বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
জননিরাপত্তার স্বার্থে সরকারের জারি করা নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান করা ও নেতিবাচক বিবৃতি দেওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে তার দপ্তর কক্ষে এ কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের নিরাপত্তা সংস্থা পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যে নির্দেশনা জারি করেছিল সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অনুষ্ঠান করা ছিল হঠকারী ও দুঃখজনক। তাদের এই আচরণে সরকার খুবই ব্যথিত ও মর্মাহত।
তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখে রমনা বটমূলে এবং যশোরের উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং অনেকে পঙ্গু হয়েছে। হলি আর্টিজান, শোলাকিয়া ময়দান ও সিলেটে ঈদের জামাতের জঙ্গি হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে পুলিশের কয়েকজন সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং জনগণের জীবন বাঁচিয়েছেন। প্রতিটি অনুষ্ঠানে সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে সবসময় সতর্ক থাকায় নিকট অতীতে বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি হামলা বা সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটতে পারেনি। এই বিষয়ে সরকার সকলের সহযোগিতা কামনা করে।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৩ সালে ১৪০০ বঙ্গাব্দে, বাংলা শতবর্ষ বরণ করার সময় বেগম খালেদা জিয়া সরকার বাধা দিয়েছিল। তাদের বাধা দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল নিরাপত্তাজনিত নয় বরং বাঙালির সার্বজনীন, অসাম্প্রদায়িক এই উৎসবকে নিরুৎসাহিত করা। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল সংগঠনসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা আমরা সকলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করেছিলাম।
নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের কর্তব্য। আশা করব এক্ষেত্রে সবাই সবসময় সহযোগিতা করবেন যাতে আনন্দের অনুষ্ঠান বিষাদে পরিণত না হয়ে যায়, বলেন প্রতিমন্ত্রী।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যে অনুষ্ঠান উদীচী করেছে সেখানে যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটতো তার দায়-দায়িত্ব কে নিতো এ প্রশ্ন রেখে মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, আমরা মনে করি নিয়ম বা নির্দেশ না মেনে অনুষ্ঠান যারা করবেন তাদেরকেই সেই দায়-দায়িত্ব নিতে হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগে যথাযথভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয় উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী আরও যোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য বাংলা নববর্ষ ভাতা ব্যবস্থাও করেছে। তার সরকারের সময়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইউনেস্কো ২০১৬ সালে বাংলাদেশের মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)