শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
এ বছর বর্ষা মৌসুমে সারা দেশে আট কোটি ৩৩ লাখ ২৭ হাজার গাছের চারা রোপণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ।
মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা উপলক্ষ্যে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
পরিবেশ সচিব বলেন, দেশের বন, জীববৈচিত্র্য ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য ব্যাপকহারে বৃক্ষরোপণ করা হচ্ছে। আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ দেশের বৃক্ষাচ্ছাদিত মোট ভূমির ২২.৩৭ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশে এবং বনাচ্ছাদনের পরিমাণ ১৪.১ শতাংশ থেকে ১৬ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে সরকার বনায়ন ও বন সংরক্ষণ, অবক্ষয়িত বন পুনরুদ্ধার ও টেকসই বন ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
তিনি বলেন, ২০০৯-২০১০ হতে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত মোট দুই লাখ ১৭ হাজার ৪০২ হেক্টর ব্লক এবং ৩০ হাজার ২৫২ সিডলিং কি.মি. স্ট্রিপ বাগান সৃজন এবং ১১ কোটি ২১ লাখ চারা বিতরণ ও রোপণ করা হয়েছে। এ বছর বর্ষা মৌসুমে সারা দেশে আট কোটি ৩৩ লাখ ২৭ হাজার চারা রোপণ করা হবে।
সচিব বলেন, সারা দেশে বৃক্ষের পরিমাণ ও বনখাতে কার্বনের পরিমাণ নির্ণয়ের জন্য এ বছর জাতীয় বন জরিপ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের উপকূল, বাঁধ এবং পোল্ডারে বনায়নের মাধ্যমে উপকূলজুড়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সবুজ বেষ্ঠনী সৃজন করা হচ্ছে। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রায় ৮৯ হাজার ৮৫৩ হেক্টর উপকূলীয় বনায়ন সৃজন করা হয়েছে।
২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সামাজিক বনায়নে সম্পৃক্ত এক লাখ ৬০ হাজার ৬৯৯ জন উপকারভোগীর মধ্যে লভ্যাংশ হিসেবে ৩২৬ কোটি ৯৫ লাখ ৪৬ হাজার ১১৪ টাকা বিতরণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, জবরদখল হওয়া বনভূমি পুনরুদ্ধারের জন্য সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ফলশ্রুতিতে ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে গত এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে প্রায় ৩০ হাজার একর বনভূমি জবরদখলমুক্ত করা হয়েছে ও বনায়ন সম্পন্ন হয়েছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)