শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে ইতোমধ্যে ঢাকা ছেড়ে গেছেন অধিকাংশ মানুষ। মূলত, সাপ্তাহিক ছুটির (শুক্রবার-শনিবার) সঙ্গে ঈদের ছুটি মিলে যাওয়ায় এবার আগেই ঢাকা ত্যাগ করেছেন অনেকে। তাই ঈদের আগে আজ শেষ দিন কমলাপুর রেলস্টেশনে বিকেল থেকে যাত্রীদের চাপ কমতে থাকে। ফলে রাতে অনেকটাই ফাঁকা হয়ে যায় স্টেশন।
রোববার (১৬ জুন) রাতে কমলাপুর স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, যাত্রীর বাড়তি কোনো চাপ নেই। আগে থেকে টিকিট কেটে রাখা যাত্রীরা ট্রেন ভ্রমণের জন্য স্টেশনে আসছেন। টিকিট ছাড়া কোনো যাত্রীকে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
স্টেশনের মনিটরে দেখা যায়, আজ রাতে আর কমলাপুর থেকে আর আটটি ট্রেন ছেড়ে যাবে। এগুলো হলো, দ্রুতযান এক্সপ্রেস, ভাওয়াল এক্সপ্রেস, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস, মহানগর এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস, উপবন এক্সপ্রেস, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রাম মেইল। এসব ট্রেনের যাত্রীদের প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। আগে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোর যাত্রীদের নির্ধারিত আসন পেতেও কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
পঞ্চগড় এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রাম মেইল ট্রেন যথাক্রমে সবশেষ রাত সাড়ে ১১টায় ও রাত পৌনে ১২টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে বলেও জানা গেছে।
যাত্রীরা বলছেন, স্টেশনে বাড়তি মানুষের চাপ নেই। যার কারণে সুন্দরভাবে টিকিট দেখিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে পারছি। হকারদের বাড়তি যন্ত্রণাতেও পড়তে হয়নি।
তাদের প্রত্যাশা, কোনোরকম ভোগান্তি ছাড়াই ট্রেনে চড়ে নির্বিঘ্নে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে পারবেন।
পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের যাত্রী শহিদুল ইসলাম বলেন, আজকে রাস্তায় তেমন যানজট নেই। কোনো ভোগান্তি ছাড়াই প্ল্যাটফর্মে এসেছি। কোনো হুড়োহুড়ি নেই, ভোগান্তি নেই। ট্রেনের টিকিট অনলাইনে কেটে রেখেছিলাম। ট্রেনে ঈদযাত্রা আগের চেয়ে অনেক স্বস্তিদায়ক হয়েছে।
কমলাপুর স্টেশনের দায়িত্বশীলরা বলছেন, আজ সকালের দিকে কিছুটা ভিড় ছিল। ঢাকার পোশাক কারখানা শ্রমিকদের আজ ছুটি হয়েছে। যার কারণে সকালের দিকে একটু যাত্রীর বাড়তি চাপ ছিল। তখন কিছু ট্রেনের ছাদে করেও মানুষ বাড়ি ফিরে গেছেন। তবে, দুপুর ১২টার পর থেকে মোটামুটি ফাঁকা হতে থাকে স্টেশন। অন্যদিকে, আজ খুব বেশি শিডিউল বিপর্যয় হয়নি। ফলে নির্ধারিত সময়ে অধিকাংশ ট্রেন ছেড়ে গেছে।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, পর্যায়ক্রমের সব ট্রেন ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছে। যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবাদান নিশ্চিত করতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)