শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড শিমুল ভুঁইয়ার পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে জড়িত ছিল ফয়সাল ভুঁইয়া ও মোস্তাফিজুর রহমান। ১৯ তারিখ তারা দেশে ফেরেন। শিমুল ভুঁইয়ার কাছ থেকে পান মাত্র ৩০ হাজার টাকা। সেই টাকা নিয়ে সীতাকুণ্ড পাতাল কালীমন্দিরে তারা আত্মগোপনে চলে যান। সেখানে তারা হিন্দু পরিচয়ে আশ্রয় নিয়ে ২৩ দিন অবস্থান করেন।
সর্বশেষ আজ বুধবার (২৬ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ সেখানে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে তাদের ঢাকায় আনা হয়।
তাদের বহন করা হেলিকপ্টারটি বিকেলে পূর্বাচলে ১৮ নম্বর সেক্টরে বঙ্গবন্ধু ট্রাই-টাওয়ারের জমিতে অবতরণের পর সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, আমরা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় তদন্ত করছিলাম। গতকাল শুনলাম তারা খাগড়াছড়ি বা সীতাকুন্ড পাহাড়ের দিকে অবস্থান করছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের টিম গতকাল সেখানে সাঁড়াশি অভিযানে যায়। এরপর আজ সকালে আমরা আরেকটি টিম সেখানে যাই। অনেক উঁচু পাহাড়। সেখানে যাওয়া অনেক কঠিন। হেঁটে পৌঁছাতে ৭/৮ ঘণ্টা লাগে। পরে মোস্ট ওয়ানটেড দুজনকে সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, যে রুমটিতে সংসদ সদস্য আনারকে হত্যা করা হয়েছে সেখানে ছিল ফয়সাল ভুঁইয়া। যিনি হত্যার আগে ক্লোরোফম দিয়ে অজ্ঞান করেছিল আনারকে। আর মোস্তাফিজুর রহমান আনারকে চেয়ারে বেঁধে বিবস্ত্র করেছিল, একই সঙ্গে মৃত্যু নিশ্চিত করেছিল। এরপর তাকে বাথরুমে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে মূল মাস্টারমাইন্ড শিমুল ভুঁইয়ার সহযোগী হিসেবে ছিল গ্রেপ্তার জিহাদ, আর আজকে গ্রেপ্তার ফয়সাল ভুঁইয়া, মোস্তাফিজুর রহমান।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)