বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেন সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা। এর ফলে প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে জনগুরুত্বপূর্ণ এ এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষজন। এ অবস্থায় নিরুপায় হয়ে রাস্তা ছেড়ে ফুটপাত দিয়ে অনেক মোটরসাইকেল চালক গন্তব্যের উদ্দেশে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেখানেও বাধ সাধেন আন্দোলনকারীরা। সাধারণ মানুষ ও মোটরসাইকেল চালকদের সঙ্গে জড়ান তর্কে। এসময় অতি উৎসাহী কয়েকজনকে মোটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নিতেও দেখা যায়।
বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে সায়েন্সল্যাব মোড়ে এমন চিত্র চোখে পড়ে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সায়েন্সল্যাবের মূল সড়কে শিক্ষার্থীরা বসে ও পার্শ্ববর্তী সংযোগ সড়কে দড়ি বেঁধে গাড়ি চলাচল বন্ধ করেছেন। খোলা রয়েছে কেবল ফুটপাত। তবে সেখানেও বেশ কয়েকজন দাঁড়িয়ে থেকে মোটরসাইকেল চালকদের গতিরোধ করছেন। ঢাকা কলেজের দর্শন বিভাগের সামিউল নামের এক শিক্ষার্থীকে হাতে লাঠি নিয়ে মোটরসাইকেল চালকদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। তার একটু সামনেই প্রাণিবিদ্যা বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী শাহীনকে এক মোটরসাইকেল চালকের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে গাড়ির চাবি নিয়ে নিতে দেখা যায়।
এসময় তিনি বলেন, এখানে কি তামাশা করতে বসেছি। হাইকোর্ট একটা তামাশা ধরে বসেছে। আজ চারদিন ধরে আন্দোলন করছি। কোনো গাড়ি চলবে না।
এ অবস্থায় বেশ বিপাকে পড়েন শ্রমজীবী মানুষেরা। আব্দুল হালিম নামের এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমাদের ডেলিভারি দিতে হয়। এ অবস্থা আমাদের মতো খেটে খাওয়া মানুষের জন্য অনেক কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা খুব কষ্টের মধ্যে পড়েছি।
রফিকুল ইসলাম নামের আরেক মোটরসাইকেল চালক বলেন, অফিসের কাজে বের হয়েছি। এখন অবরোধের মুখে পড়তে হয়েছে। অফিস কি আর এসব বুঝে। যত জ্বালা সব সাধারণ মানুষের।
তবে অবরোধের আওতার বাইরে রয়েছে জরুরি রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স। অপরদিকে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত না আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত অবরোধ চলবে।
এর আগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ইস্যুতে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর আপিল বিভাগের স্থিতাবস্থার আদেশও প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)