শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
কোটাবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে ঢাকার কারওয়ান বাজার রেলগেটে রেলপথ অবরোধ করে রেখেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ফলে পুরো ঢাকায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, দুপুর ১২টা থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, কারওয়ান বাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রেলপথের বাইরে থাকা স্লিপার তুলে রেললাইনের ওপর রাখা হয়েছে এবং জাতীয় পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। অনেকের মাথাতেও বাঁধা রয়েছে জাতীয় পতাকা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদের দাবি সকল ক্ষেত্রে কোটা সংস্কার। ফলে কোর্টের আদেশ স্টে হলেও তাদের কর্মসূচি চলমান থাকবে। ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি শুধুমাত্র সড়ক নয়, সড়ক, রেল ও নদীপথ সব অবরোধ করা। এর অংশ হিসেবেই কারওয়ান বাজার রেল ক্রসিং অবরোধ করা হয়েছে।
এর আগে, সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের অক্টোবরে কোটাবিরোধী আন্দোলন চরম আকার ধারণ করলে সরকার পরিপত্র জারি করে সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা পুরোপুরি বাতিল করে দেয়। ওই পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ জুন পরিপত্রটি বাতিল করে দেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
এই রায়ের পর ফুঁসে উঠেন শিক্ষার্থীরা। তারা কোটা বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। গত ১ জুলাই থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে জোরালো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে দুই দিন ঢাকায় কর্মসূচি পালন করেন তারা। এতে রাজধানী স্থবির হয়ে পড়ে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা রাজপথ অবরোধ করায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষদের। মাঝে এক দিন বিরতি দিয়ে বুধবার আবারও ব্লকেড কর্মসূচিতে রাজপথে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)