বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতা ও প্রাণহানি ঠেকাতে জারি করা অনির্দিষ্টকালের কারফিউ ঢাকায় আজও ৭ ঘণ্টা শিথিল থাকবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাজধানীর মানুষজন স্বাভাবিক কার্যক্রমের জন্য ঘরের বাইরে আসতে পারবেন। একইসঙ্গে এ সময়ের মধ্যে সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত চলবে সরকারি-বেসরকারি সব অফিসের কার্যক্রম।
গতকাল বুধবার থেকে দিনের নির্দিষ্ট সময়ে কারফিউ শিথিল করে চার ঘণ্টা সরকারি-বেসরকারি সব অফিসের কার্যক্রম চালু করা হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবারও ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর এবং নরসিংদী জেলায় কারফিউ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শিথিল থাকবে। আর বাকি জেলাগুলোর কারফিউ শিথিলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনকে।
এছাড়া চলমান কারফিউ শিথিলের সময় আপাতত ঢাকা থেকে দুটি রুটে ট্রেন চলবে বলে জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. হুমায়ুন কবির বলেন, বৃহস্পতিবার কারফিউয়ের শিথিল সময়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা ও ঢাকা-টঙ্গী-ঢাকা রুটে দুটি কমিউটার ট্রেন চলাচল করবে।
এছাড়া, পূর্ণাঙ্গভাবে ট্রেন চলাচলের বিষয়েও আজ (বৃহস্পতিবার) সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কারফিউ তুলে দিতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
বুধবার (২৪ জুলাই) সচিবালয়ে তিনি বলেন, আমরা বাধ্য হয়ে কারফিউ জারি করেছি, সেনাবাহিনীকে ডেকেছি। তারা সহযোগিতা করেছে। আগামী দু-চারদিনের মধ্যে আশা করি সবকিছু কন্ট্রোলে (নিয়ন্ত্রণে) নিয়ে আসতে পারবো। কারণ দেশের মানুষ এটা পছন্দ করছে না। এরই মধ্যে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের উত্থান এবং বিএনপি-জামাতের চক্রান্ত আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের পরিবেশ যখন ঠিক হবে সেনাবাহিনী তাদের কাজে চলে যাবে।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারাদেশে সহিংসতার জেরে গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে কারফিউ জারি করে সরকার। এসময় শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির পর রোববার, সোমবার ও মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩ দিন নির্বাহী আদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)