বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
নিজের চলার পথ সহজ ছিল না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেক চড়াই-উতরাই, ঘাত-প্রতিঘাত, গুলি, বোমা, গ্রেনেড হামলার মুখোমুখি হতে হয়েছে আমাকে। বারবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছি। যেখানে গেছি সেখানে হামলার শিকার হয়েছি।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে কৃষকলীগ আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ রোববারের পরীক্ষাও স্থগিত, ১১ আগস্ট শুরু এইচএসসি
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর কিছু বিপদগামী সদস্য বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের সেই রাতে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভ্রাতা শেখ আবু নাসের, জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, দ্বিতীয় পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, কনিষ্ঠ পুত্র শিশু শেখ রাসেল, নবপরিণীতা পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি, স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক ও জাতির পিতার ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছোট মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত, কনিষ্ঠ পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, দৌহিত্র সুকান্ত আব্দুল্লাহ বাবু, ভাইয়ের ছেলে শহীদ সেরনিয়াবাত, আব্দুল নঈম খান রিন্টু, বঙ্গবন্ধুর প্রধান সামরিক সচিব কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদ ও কর্তব্যরত অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী নৃশংসভাবে নিহত হন।
আরও পড়ুনঃ হানিয়া হত্যার জবাবে সরাসরি ইসরায়েলে হামলার নির্দেশ খামেনির
শোকের মাসকে ঘিরে আগস্টের প্রথম প্রহর থেকে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে কৃষকলীগ স্বেচ্ছায় রক্ত দান কর্মসূচি, আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে ফিরে এসে বারবার ঘাতকের হুমকি ও মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে গিয়ে বহু চাপ ও হুমকি এসেছে। আজকের তরুণ প্রজন্ম যাদের বয়স ২০ বছর তারা কল্পনাও করতে পারবে না কেমন ছিল আওয়ামী লীগের আগের বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ যখন উন্নতির শিখরে উঠছে তখন পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা যড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা সব মেগা প্রকল্পে হামলা চালিয়েছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রসঙ্গটিও প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় উঠে এসেছে। সরকারপ্রধান বলেন, ‘যেখানে শিক্ষার্থীদের দাবি শতভাগ মেনে নেওয়া হয়েছে, সেখানে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কী যৌক্তিকতা আছে।’
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)