শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
গত ৩১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে হাইকোর্ট এলাকায় ঢাকার নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদুল ইসলামের মুখ চেপে ধরেন পুলিশ পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেন। দৃশ্যটি পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।
রোববার (১৯ আগস্ট) ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এতদিন পর ডিএমপি মনে করছে, সুশৃঙ্খল পুলিশ বাহিনীর একজন সদস্য হওয়া সত্ত্বেও তার এরূপ অপেশাদার কর্মকাণ্ডের ফলে পুলিশের কার্যক্রম সমন্ধে জনসম্মুখে বিরূপ ধারণার সৃষ্টিসহ পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
পুলিশ পরিদর্শক আরশাদ হোসেনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) শাহবাগ থানায় পরিদর্শক (অপারেশন) হিসেবে কর্মরত।
এই আরশাদ আলীর ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, তিনি একজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। দলীয় কোটায় আওয়ামী লীগ নেতার আত্মীয় পরিচয় চাকরি পেয়েছিলেন। চাকরি পাওয়ার পর তিনি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। শাহবাগ এলাকায় তাকে দায়িত্ব দেওয়ার পর তিনি বেছে বেছে জামায়াত-শিবির এবং বিএনপির কর্মীদের ধরে মিথ্যা মামলা দিতেন। এছাড়া আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীদের দমন নিপীড়ন ও তাদেরকে গ্রেফতারে নানা ভূমিকা রাখেন এই আরশাদ।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখ চেপে ধরা ছাড়াও পুলিশ পরিদর্শক আরশাদ হোসেনের বিরুদ্ধে আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে। তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের জামায়াত-শিবির বলেও আখ্যায়িত করেছিলেন। সে সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিবির বলে আখ্যা দেওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)