বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলার সময় এর সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) বিক্ষোভ করায় ৫৭ বাংলাদেশি কর্মীকে কারাদণ্ড দিয়েছিল দেশটির সরকার।
অবশ্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সম্মানে তাদের ক্ষমা করার আদেশ দিয়েছেন আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। পাশাপাশি, এখন থেকে কর্মীদের দেশটির আইন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করে পাঠানোর কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন আমিরাতের প্রেসিডেন্ট।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) এসব তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যে ৫৭ জন কর্মীকে অত্যন্ত দীর্ঘমেয়াদি জেল দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে তিনজন যাবজ্জীবন, ৫৪ জনের ১০-১১ বছর জেল তাদের সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছে। তারা এখন মুক্ত মানুষ হিসেবে থাকতে পারবেন। এটা আমি মনে করি যে, বিশেষভাবে একটা সম্মান দেখানো হয়েছে ড. ইউনূসের প্রতি। উনি অনুরোধ করেছেন আমিরাতের প্রেসিডেন্টকে। তারা তাদের ক্ষমা করেছেন এবং এই মানুষগুলো বা পরিবারগুলো বিরাট বিপদ থেকে মুক্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, উনি (আমিরাতের প্রেসিডেন্ট) অবশ্য একটা কথা বলেছেন, আপনারা যাদের পাঠাবেন, তাদের আমাদের আইন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করে, একটু ট্রেইন করে পাঠাবেন। আমাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, আবেগতাড়িত হয়ে তারা এটা করেছেন। তবে, মনে রাখতে হবে, তাদের আইনে এটা নেই। আপনি যে দেশে কাজ করতে যাবেন, সে দেশের আইন মেনে চলতে হবে।
ক্ষমা পাওয়া ৫৭ বাংলাদেশি দেশটিতে কাজ করতে পারবেন কি না? এ প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমি যতটুকু জানি যে, ওখানে কাজ করতে পারবে, দেশে ফেরত পাঠাবে না। এমনকি যদি দেশে ফেরত পাঠানো হতো, তবুও এটা একটা বিরাট সাফল্য হিসেবে আমরা মনে করতাম। কারণ, মানুষগুলোর জীবন শেষ হয়ে যেত। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, তারা সম্পর্ণ ক্ষমা পেয়েছে। কাজেই তারা ওখানে কাজ করতে পারবে। তবে, এটা এখন নিশ্চিত করতে পারব না, এটা অনুমান।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)