শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এসএন করপোরেশন নামে একটি জাহাজ ভাঙার কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম খায়রুল শেখ।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত তিনটার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খায়রুল মারা যান। এ নিয়ে বিস্ফোরণের ওই ঘটনায় প্রাণহানি বেড়ে দুইজনে দাঁড়ালো।
এর আগে গত শনিবার দিবাগত রাতে মারা যান আহমেদুল্লাহ নামে একজন।
২১ বছর বয়সী খায়রুলের বাড়ি পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার দাশেরকাঠি গ্রামে। তার বাবার নাম কামাল শেখ। বিস্ফোরণে তার শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
জানা যায়, সীতাকুণ্ডের জাহাজ ভাঙার ওই কারখানাটিতে কাজ করতেন খায়রুল। কারখানার পাশের একটি মেসে থাকতেন তিনি। বিস্ফোরণে দগ্ধ হওয়ার পর চট্টগ্রাম মেডিকেল থেকে শনিবার দিবাগত রাতে তাকে ঢাকার বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে যান খায়রুল।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ বাকি ছয়জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এদের মধ্যে চারজনকে আইসিইউতে এবং দুইজনকে এইচডিইউতে রাখা হয়েছে। ২৫ থেকে ৮০ শতাংশ দগ্ধের পাশাপাশি তাদের সবারই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে।
চিকিৎসাধীন দগ্ধদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলমের ৭০ শতাংশ, আবুল কাশেমের ৭০ শতাংশ, বরকাতুল্লাহর ৬০ শতাংশ, আনোয়ার হোসেনের ২৫ শতাংশ, আল-আমিনের ৮০ এবং হাবিবের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ রয়েছে। তাদের মধ্যে আনোয়ার ও হাবিব এইচডিইউতে আর বাকি চার জন আইসিইউতে রয়েছেন।
গত শনিবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর সাগর উপকূলে অবস্থিত এসএন করপোরেশনের জাহাজ ভাঙা ইয়ার্ডে স্ক্র্যাপ জাহাজের পাম্প রুমে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ১২ জন গুরুতর দগ্ধ ও আহত হন। চিকিৎসার জন্য প্রথমে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আটজনকে ঢাকায় আনা হয়।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)