রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, জুম চাষে আগুন লাগলে যেমন এর আশপাশের সবকিছুই পুড়ে ছারখার হয়ে যায়, ঠিক তেমনি আপনাদের দায়িত্বে অবহেলা থাকলে আপনারাও ছারখার হয়ে যাবেন।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জন্য স্বল্প মেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কাজের প্রতি অবহেলা চলবে না। ফাইল চালাচালির দীর্ঘসূত্রতা পরিহার করতে হবে। একই সাথে কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, জেলা পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্গানোগ্রাম ঠিক করতে হবে। তিন পার্বত্য জেলায় নিয়োগ কমিটি পুনর্গঠন সরকারের বিধি বিধান অনুযায়ী হতে হবে।
তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিধি-বিধান অনুযায়ী সরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
উপদেষ্টা বলেন, কাজের রিপোর্ট দ্রুত উপস্থাপন এবং মনিটরিং ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করতে হবে। তিনি সরকারের অর্থ অযাচিত ব্যয় থেকে বিরত থাকার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। উপদেষ্টা অর্থ ছাড়ের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত খরচ ছাড়ের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, তিন পার্বত্য অঞ্চলে পানির অভাব যাতে না হয় সেজন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। জনকল্যাণে উপকারভোগীর সংখ্যা নির্ণয় করাসহ গৃহীত স্কিমগুলোর যাবতীয় বিষয়াদি সিভিল প্রকৌশলীরা মনিটরিং করবেন বলে উপদেষ্টা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, সকলের সম্মিলিত মতামতের ভিত্তিতেই আমরা সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করব।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী বলেন, জনকল্যাণে নেওয়া আগের প্রকল্প ও স্কিমগুলোর সর্বশেষ অবস্থা কোন অবস্থায় রয়েছে, তা জেনে অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করতে হবে।
তিনি বলেন, অসহায় গরিব বানভাসি ক্ষুধার্ত মানুষদের খাবার বিতরণের কাজ অব্যাহত রাখতে হবে। তিন জেলায় আর্থিক সহায়তা ও বিতরণের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সিইও’রা ব্যবস্থা নেবেন।
কর্মশালায় রাঙ্গামাটি লেক এলাকায় মাছের অভয়ারণ্য গড়ে তোলা ও পাহাড় কাটা বন্ধ করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য বিদ্যমান প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন এবং নতুন প্রকল্প গ্রহণ করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)