মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১
চব্বিশ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানকে পাশ কাটিয়ে সংবিধান প্রণয়নের কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান আলী রিয়াজ।
তিনি বলেন, জনআকাঙ্খার বাস্তবায়ন ঘটাতে চাইলে নিঃসন্দেহে সংবিধানে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের বিষয়টি রাখতে হবে। গণঅভ্যুত্থাণ না হলে এই কমিশন হতো না, এমনকি আমরা এখানে উপস্থিতও হতে পারতাম না।
রোববার (৩ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় সংসদের এলডি হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আলী রিয়াজ বলেন, আপনারা, আমরা, সংবিধান সংস্কার কমিশনসহ বর্তমানে যা কিছু হচ্ছে সবকিছুই হাজারো মানুষের আত্মদানের ফসল। ফ্যাসিবাদীরা ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য যা যা করেছে এবং তার বিপরীতে সাধারণ ছাত্র-জনতা যে ভূমিকা পালন করেছে, তা যদি উল্লেখ না থাকে তাহলে সংবিধানে কী লিপিবদ্ধ করব? কেন আমরা এতো মানুষের আত্মত্যাগ দেখলাম, তা তো লিপিবদ্ধ অবশ্যই করতে হবে।
তিনি বলেন, সংবিধানে থাকুক বা না থাকুক, নিঃসন্দেহে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পেছনে ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন আছে। সেটা তো নিঃসন্দেহে ডকুমেন্টেড হতে হবে। এর বাইরে গিয়ে বা এই ইতিহাসকে পাশ কাটিয়ে আমরা জাতি হিসেবে কিছুই করতে পারব না। আমি মনে করি চব্বিশের গণমানুষের বিপ্লবকে ইতিহাসে লিপিবদ্ধ করা শুধু জরুরিই নয়, অনিবার্যও বটে।
সংবিধান প্রণয়নে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিটিতে যারা আছেন, তারা প্রত্যেকেই সংবিধান নিয়ে দীর্ঘ বছর যাবৎ কাজ করেন। আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, গত প্রায় দুই-আড়াই বছর যাবৎ চেষ্টা করেছি সংবিধানটাকে বোঝার। সুতরাং এই কমিশনকে অভিজ্ঞতাহীন বলার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, কমিশন এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না বা নেবে না। কমিশনের প্রধান হিসেবে আমারও যদি কোনো ব্যক্তিগত অভিমত থাকে সেটি কমিশনকে জানাব। সবমিলিয়ে কমিশনই সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)