শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর কোনো সহিংসতায় না জড়াতে ও দলের নেতাকর্মীদের ঠান্ডা মাথায় চলার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বিকালে তেজগাঁওয়ের ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সকল সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভায় একথা জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দলমত নির্বিশেষে দেশের উন্নয়ন যাত্রা আরও এগিয়ে নিতে দলের নেতাকর্মীদের ঠান্ডা মাথায় চলতে হবে। কোথাও সহিংসতা বা সংঘাতে জড়ানো যাবে না। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া নেত্রীর বক্তব্য অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। দেশের মানুষের প্রত্যাশা ও দেশ পরিচালনার চ্যালেঞ্জগুলো অতিক্রম করতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০২৪ সালে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক দূর যেতে চাই। এই দেশে যারা অশুভ ও অপরাজনীতির পথ অবলম্বন করেছেন তাদের পক্ষে জনগণ থাকেনি। ভবিষ্যতেও বিশ্বাস করি জনগণ অপশক্তির সাথে থাকবে না।
বিএনপির আন্দোলনকে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দিচ্ছি না জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দিচ্ছি না। এগুলো নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখার অপকৌশল। দেশের জনগণ বিপুল ভোট দিয়ে প্রমাণ করেছে যারা বর্জনের ডাক দিয়েছে ভোটাররা তাদের বর্জন করেছে।
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে কুচক্রির বিরুদ্ধে আমাদের নজর আরও বাড়াতে হবে। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। কিন্তু বিএনপি করে। এটা তাদের জনবিচ্ছিন্নতার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেবে। কোনো ক্ষতি যেন করতে না পারে সে জন্য আমরা সর্বদা সতর্ক। সব কিছু মোকাবেলা করেই আওয়ামী লীগ আজকের বিজয়ের মাহেন্দ্রক্ষণে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে অবিচল।
এ সময় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা. জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম-হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বি এম মোজাম্মেল হকসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা-মহানগরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)