রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১
ছবি সংগৃহীত
দেশে মব জাস্টিস রুখতে অন্তবর্তীকালীন সরকার কেনো চুপচাপ এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান।
শনিবার (৮ মার্চ) নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের মিছিলপূর্ব সমাবেশে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সেলিমা রহমান বলেন, ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আমাদের তরুণ সমাজ, ছাত্র-জনতা তাদের বুকের রক্ত দিয়ে যে স্বাধীনতা এসেছে; যেখানে ফ্যাসিস্ট সরকার পদত্যাগ করে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। সেখানে কেনো এখনও নারী ধর্ষণ হচ্ছে? বাসে, পথে-ঘাটে নারীকে হেনস্তা করা হচ্ছে। মাগুরার কাহিনী দেখেন, একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে। মিডিয়াতে জানিয়ে মাইকিং করে মব জাস্টিস; এসব কারা করছে? সরকার কেনো চুপচাপ? সরকার কেনো কথা বলছে না?
তিনি আরও বলেন, আমরা জানি ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন বিশ্ববিখ্যাত নন্দিত নেতা। আমরা তার কাছে আশা করেছিলাম এই সময়ে যারা বিভিন্ন অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে, দেশকে আজকে অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে তাদের ওপর কঠিন হবেন এবং তাদের শাস্তি দেবেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, সরকারকে বলতে চাই, সমাজে যে অস্থিরতা-অস্থিতিশীলতা, মব জাস্টিস, নারী ধর্ষণ এসব যদি বন্ধ করতে না পারেন তাহলে বাংলাদেশের যে জনগণ যে স্বপ্ন নিয়ে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছিল সেই স্বপ্ন আমাদের পূরণ হবে না।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে মিছিলের আগে এই সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। বেগুনি রঙের শাড়ি পরিহিতা মহিলা দলের শতাধিক নারী সদস্য এ আয়োজনে অংশ নেন।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিন মহিলা দলের কর্মসূচিতে পুলিশের ঘেরাও পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে সেলিমা রহমান বলেন, নারীরা আজকে মুক্ত অন্তুত পুলিশ দিয়ে আমরা এখন ঘেরা নই। যেখানে আমার বোনেরা মিছিল করতে পারতো না; কোনো কিছুই করতে পারতো না। সেই অবস্থা থেকে আমরা মুক্ত হয়েছি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমরা এখন দল করেছ আমরা স্বাগত জানাই। আজকাল ছাত্র-জনতা বলে, বৈষম্যবিরোধী বলে যে কেউ দুই-তিন জন করে বিভিন্ন জেলায় তারা বিভিন্ন অফিস-আদালতে গিয়ে বসে থাকছে, তারা ভাগ চাইছে।
জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চালনায় এই সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। সমাবেশের পর একটি মিছিল কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল রেস্তোরাঁর মোড় হয়ে আবার নয়া পল্টনের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)