শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
এবারের নির্বাচন বানচাল করবে বলে বিএনপি অনেক আস্ফালন দেখিয়েছিল মন্তব্য করে তাদের সেই আস্ফালন এখন কোথায় সেটা প্রশ্ন করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বিএনপিসহ কিছু বিরোধী দল নির্বাচন বর্জন করায় এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নতুন রণকৌশল নিয়েছিল বলে জানান তিনি।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের যৌথসভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে যৌথসভার আয়োজন করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।
এবারের নির্বাচন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হয়েছে। বিরোধী দল নির্বাচন বর্জন করায় নতুন রণকৌশল করতে হয়েছে। তাই এবার সংসদে বড় একটা অংশ স্বতন্ত্র প্রার্থী। এবার নির্বাচনে ৪২ শতাংশ ভোট পড়েছে।’
কাদের বলেন, ‘এই নির্বাচনে রণকৌশলের সোনালি ফসল আমরা ঘরে তুলেছি। মোটামুটি সংঘাতমুক্ত হয়েছে নির্বাচন। যারা নির্বাচন আসেনি তারা অনেক কথাই বলেছে। তারা বলছিল এই নির্বাচন হতে দেবে না। তাদের সেই আস্ফালন এখন কোথায় গেল?’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘দেশি-বিদেশি সাংবাদিকরা ছিল। কিন্তু কোনো কিছু বলার মতো দেখেনি। শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে বহু দেশ। সারা দুনিয়া বলছে, একটা ভালো নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে একটা দল প্রশংসা করতে পারে না। কীভাবে এই নির্বাচন বৈধতা পাবে, জিয়াউর রহমানের মতো ‘হ্যাঁ’ ‘না’ ভোট করে? যা করেছিল জিয়াউর রহমান।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করে দেশের গণতন্ত্র আরও দৃঢ় করেছেন। বর্তমান নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। যার কারণে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থীকেও শোকজ করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটা স্বাধীন কমিশন গঠিত হয়েছে, যা প্রশংসার দাবিদার।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির মানুষ নেই। তাই নির্বাচনে এলে হেরে যাবে- এই চরম হতাশগ্রস্ত শিবিরে পরিণত হয়েছে বিএনপি। যে দলের মধ্যে গণতন্ত্র নেই সেই দল কীভাবে দেশের মানুষকে গণতন্ত্র দেবে। এই বিএনপি তাদের সাত ধারা বাতিল করেছিল। এই বিএনপি অসুস্থ খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে নেতা বানিয়েছে। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বানাতে বিএনপি তাদের সাত ধারা বাতিল করেছে।’
বিএনপির সমালোচনা করে কাদের বলেন, ‘বিএনপি নিজেদের অফিসে তালা মেরে বলে সরকার তাদের অফিসে লাগিয়েছে। আবার তাদের অফিসের তালা তারাই ভেঙেছে। যারা অফিসে তালা লাগাতে পারে আবার ভাঙতেও পারে, সংবিধান ভাঙা বিএনপির অফিসের তালা ভাঙার মতো না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কত রং দেখালেন। সেই পিটার হাসও শেখ হাসিনার সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।’
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে কাদের বলেন, ‘নির্বাচনী ট্রেন বন্ধ হয়ে গেছে। আগামী পাঁচ বছর পর এই ট্রেন চালু হবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খানসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরা।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)