শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আমাদের সামনে আরেকবার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, আমরা তা কাজে লাগাতে চাই। আমরা সেই প্রত্যাশা নিয়েই এই কমিশনকে সহযোগিতা করছি এবং এই সরকারকে সহযোগিতা করছি।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে বিএনপির সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে এ কথা বলেন তিনি। বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ। আরো ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাঈল জবিউল্লাহ, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল ও সাবেক সংস্থাপন সচিব আবু মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান খান।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য সফররাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপির জন্য সনদ একটা আছে, সংস্কারের সনদ। কাজেই আমরা সংস্কার সনদের পক্ষে। আমরা চাই সবকিছু যেন জনগণের সম্মতিতে হয়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা গতকাল প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি বিএনপির চেয়ে বেশি সংস্কার বাংলাদেশে কোন রাজনৈতিক দল করেছে। কাজেই বিএনপি সংস্কারের বিপক্ষে নয় বিএনপি সংস্কারেরই দল। কিন্তু কেউ কেউ নানান কথা বলেন, তারা যখন সংস্কারের দন্তস্য উচ্চারণ করেননি তখন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ভিশন ২০-৩০ দিয়েছেন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সনদ না হলেও বিএনপির ৩১ দফার সনদ আছে জানিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপির জন্য সনদ তো একটা আছে, সংস্কারের সনদ। কাজেই আমরা এর পক্ষে। আমরা শুধু একটা জিনিস বলব যে, সবকিছুর মূলে জনগণ। জনগণের সম্মতিতে যেন সব হয়। আর জনগণ কার মাধ্যমে সম্মতি জানায় আমরা জানি।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)