শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় প্রশ্নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাজনৈতিক ও আদর্শিকভাবে নতুন এক ‘ইসলামী বিপ্লবের’ ডাক দিয়েছেন ছাত্রশিবিরের সাহিত্য সম্পাদক এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা সাদিক কায়েম। তিনি বলেন, দেশ আজ গভীর সংকটে। এই সংকট মোকাবিলায় ইসলামপন্থিদের ঐক্য এবং সংগ্রামই একমাত্র পথ।
শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত সমাবেশে সাদিক কায়েম এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আগামীর বিপ্লব হবে ইসলামের বিপ্লব। এ দেশের জনগণ আগেও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে, এবারও দাঁড়াবে। সেই সংগ্রামে শহীদ হয়েছেন অনেকে—শাপলায়, ক্যাম্পাসে, আর সর্বশেষ জুলাই অভ্যুত্থানে।’
সাদিক কায়েম বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার দেশে একাধিকবার গণহত্যা চালিয়েছে। সাঈদীর রায়ের পরের দমননীতি, ২০১৩ সালের শাপলা অভিযানে হত্যাকাণ্ড, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস, এমনকি আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলায় আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ড—এসবই সেই শোষণমূলক শাসনের প্রমাণ।’
জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণ করে তিনি আরও বলেন, ‘ওই বিপ্লব নিছক আবেগ নয়, এটা ছিল একটি ঐতিহাসিক চেতনার জাগরণ। আজকের সমাবেশ থেকে নতুন করে সেই চেতনা ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে।’
জুলাই বিপ্লবের এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রশ্নে, সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে, আর ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষার প্রশ্নে আমাদের এক হতে হবে। জামায়াতে ইসলামি যে সাত দফা দিয়েছে, তা কোনো একক দলের দাবি নয়—এটা জনগণের নিরাপত্তা, অধিকার ও স্বাধীনতার প্রশ্ন। এই দফাগুলো আদায়ের জন্য আরেকটি বিপ্লব এখন সময়ের দাবি।‘
রাজনৈতিক বার্তা স্পষ্ট করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘ইসলামী বিপ্লব মানে জ্বালাও-পোড়াও নয়, বরং জনতার অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই। আর সেই লড়াই সফল হবে ঐক্যের মাধ্যমে, বিভাজনের নয়।’
ডিএস /সীমা
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)