বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও জাগপার সভাপতি লুৎফর রহমানের ওপর হামলা প্রমাণ করে হাসিনা ও তার দোসররা এখনো সক্রিয়।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
দুদু বলেন, ২৪’র গণঅভ্যুত্থানের পর স্বাভাবিকভাবে মানুষ মনে করেছিল দেশে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে, শেখ হাসিনা ও তার দোসররা পালিয়েছে। কিন্তু এক বছরের ভেতরেই যে পরিস্থিতির মুখোমুখি আমরা হয়েছি তা মর্মান্তিক।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও জাগপার সভাপতি লুৎফর রহমানের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, তাদেরকে হত্যা করার উদ্দেশে হামলা করা হয়েছে। তাদের ওপর হামলার সঙ্গে যারা জড়িত তারা যত বড় ক্ষমতার অধিকারী হোক না কেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক। এ হামলাকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াবে আর যারা ২৪’র গণঅভ্যুত্থানে আহত হয়েছে, তারা বিপদগ্রস্ত হবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আওয়ামী লীগ ১৬ বছর ধরে মানুষের ওপর জুলুম করেছে, লুটপাট করেছে। আর জাতীয় পার্টি তাতে সমর্থন দিয়ে গেছে। ১৪ দল এখন পর্দার অন্তরালে চলে গেছে। হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভারতে পালিয়ে গেছে। কিন্তু নুর ও লুৎফরের ওপর হামলার মধ্য দিয়ে প্রমাণ পেয়েছি, হাসিনা ও তার দোসররা এখনো সক্রিয়।
দুদু বলেন, গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগ দেশে যেভাবে লুটপাট করেছে, গুম হত্যা করেছে, গত ৫৪ বছরে এরকম আর কেউ করেনি। আর সেই খুনি-গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। শুধু শেখ হাসিনাকেই নয়, হাজার হাজার হাজার লুটপাটকারীকেও আশ্রয় দিয়েছে ভারত। এই ভারত বন্ধুর নামে আমাদের দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চায়।
দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, কৃষক দলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এস কে সাদি, জাতীয়তাবাদী চালক দলের সভাপতি জসিম উদ্দিন কবির প্রমুখ।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)