রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক বলেছেন, সরকার আজ বিএনপিকে অবহেলা করে কথা বলে। অথচ আপনাদের (আওয়ামী লীগ) পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। আমরা সৎ আছি, ন্যায়ের পথে আছি। এজন্য বিদেশের মাটিতে আমার নেত্রীর এক ছটাক জায়গাজমিও নেই।
তিনি বলেন, স্বৈরাচাররা ক্ষমতায় থাকতে রাষ্ট্রীয় যন্ত্র ব্যবহার করে। মির্জা ফখরুল, আপনাদের কাছে আমরা ক্ষমা চাই। জনগণ আমাদের সঙ্গে থাকলেও কেবল এই রাষ্ট্রযন্ত্রের জন্য কিছু করতে পারছি না।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলন নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই সরকার যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতো, তাহলে ২০১৪ সালে ১৫৪ জন প্রতিনিধিকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করতো না, দিনের ভোট রাতে করতো না। যে নির্বাচন কমিশন ২ হাজার কোটি টাকা দিয়ে ডামি নির্বাচন উপহার দিয়েছে, সে নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনার ঘুমিয়ে ছিলেন। একেক সময় একেক কথা বলেছেন।
ফারুক বলেন, একদিকে বলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের কথা, অন্যদিক তৈরি করে সিন্ডিকেট। সে সিন্ডিকেটের টাকা দিয়ে কানাডায় বাড়ি বানানো হয়। অথচ বাংলাদেশের মানুষ একটা ডিম কিনে খেতে পারে না, মাংস কিনে খেতে পারে না। অথচ এসবের বিরুদ্ধে যখন আমরা কথা বলি, তখন আগুন সন্ত্রাসের উপাধি দেওয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, এতো বছরেও সাগর-রুনি হত্যার চার্জশিট তৈরি করতে পারেনি, এই সরকার। অথচ তারা আইনের শাসন, স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলেন।অথচ মানুষ এখন নির্ভয়ে ঘরে ঘুমাতে পারে না। যারা আজ মেগাপ্রজেক্টের নামে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করে, তাদের পদত্যাগ করা উচিত। এই সরকার জনগণের ভোটের সরকার নয়।
স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলনের সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে মানববন্ধন সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আলম সোহেল। আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মুহাম্মাদ রহমতুল্লাহ, কৃষক দলের সহ সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম, কৃষক দলের ধর্মীয় সম্পাদক কাদের সিদ্দিকী, ছাত্রদলের সহ সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন ভুঁইয়া প্রমুখ।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)