সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান জননেতা ড. সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ করার আশ্বাসের ব্যাপারে কেউ কথা রাখেনি। কাজের কাজ কিছু হয়নি। ভোটকেন্দ্রে জনগণের আশানুরূপ উপস্থিতি ছিল না।
শনিবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মিরপুরে সুপ্রিম পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংসদ সদস্য প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় পার্টির চেয়ারম্যান শাহজাদা ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আগামী দুই বছর পার্টির সাংগঠনিক বছর হিসাবে ঘোষণা দেন এবং পরবর্তী কর্মসূচি স্থায়ী পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান।
তিনি বলেন, আমরা কখনো কাউকে ছাড় দিয়ে কথা বলি না! এজন্য আমাদেরকেও কেউ ছাড় দেবে- এটা আশা করি না। তবে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে আমরা চেয়েছি, আওয়ামী লীগ দেশের জন্য ভালো কাজ করুক। কিন্তু দেশে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, হানাহানি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠায় আমরা দেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে মিশে থাকতে, একটা সুন্দর পরিবর্তন আনতে রাজনীতিতে এসেছি। এখানেই আমাদের থাকতে হবে। এদেশ থেকে পালিয়ে যেতে পারব না, তাই জনগণের পাশে আমাদের থাকতে হবে; দুর্নীতি, সিন্ডিকেট ও সব অব্যবস্থাপনা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কালো টাকার রাজনীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, হতাশ হলে চলবে না! নির্বাচনে যা বোঝার বোঝা হয়ে গেছে। অদৃশ্য শক্তি কলকাঠি নাড়ায়। রাজনীতিতে পরিবর্তনের জন্য এসেছি; সুতরাং সাবধান হতে হবে। আমরা ঘরে-বাইরে অনেক পরীক্ষা নিয়ে আমাদের পরীক্ষিত নেতা-কর্মী নিয়ে এগোতে চাই। আমরা নির্বাচনে কোনো অসদুপায়ে এগোতে চাই না; ধীরে এগোলে তা টেকসই হয়। অনেক প্রতিকূলতা স্বত্বেও দেশ জাতি ও গণতন্ত্রের স্বার্থে আমাদের এই নির্বাচনের পথে হাঁটতে হচ্ছে। আমরা উপজেলা নির্বাচনে যাব কি না? পার্টির স্থায়ী পরিষদে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা এও বিশ্বাস করি, বড় দলগুলো নির্বাচনকে বারবার বয়কট করে আওয়ামী লীগকে সুবিধা দিয়েছে। যার ফলে তারা এখন মোটাতাজা হয়ে বড় শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। দেশের রাজনীতি ধ্বংসে এই দলগুলোরও ভূমিকা রয়েছে।
সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ সরকার, স্থায়ী পরিষদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদ ইব্রাহিম মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ আসলাম হোসাইন, সহ-দপ্তর সম্পাদক একে নাহিদ, প্রকাশনা সম্পাদক মাহিদুল ইসলাম মাহি, মো. আসাদুজ্জামান, বাবু নিতাই চন্দ্র, মাওলানা মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ হারিছ মিয়া, আফরিনা পারভীন, মীরানা জাফরিন চৌধুরী, মোশারফ হোসেন মিয়া, অহিদুর রহমান, মোহাম্মদ জামাল সরকার, মোহাম্মদ তবারক হোসেন সোহেল, আব্দুল ওদুদ বাদশা প্রমুখ।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)