সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
চট্টগ্রাম-১১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউল হক সুমনের নির্বাচনী ক্যাম্প আগুনে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নৌকার প্রার্থী এম এ লতিফের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতের কোনো এক সময় নগরের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল মাবুদ সওদাগরের বাড়ির পাশে এ ঘটনা ঘটে। আগুনে ক্যাম্পের দক্ষিণ ও পূর্বপাশের অংশ পুড়ে গেছে। এছাড়াও ক্যাম্পে থাকা বিপুল পরিমাণ ত্রিপল, পোস্টার ও ব্যানার পুড়ে গেছে।
ব্যারিস্টার সুলতান আহমেদ চৌধুরী কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সুমনের সমর্থক তানভীর নেওয়াজ কাজল বলেন, আমাদের অভিযোগ সুনির্দিষ্ট কারোর বিরুদ্ধে নেই। তবে কার নির্দেশে কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে সেটি স্পষ্ট। আশা করি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের খুঁজে বের করবে।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী জিয়াউল হক সুমন বলেন, আমি কোনোভাবেই সংঘাত-সহিংসতার পক্ষে নয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ও এলাকার আপামর মানুষের ভালোবাসাকে পুঁজি করে প্রার্থী হয়েছি। যেখানেই যাচ্ছি নেতাকর্মীদের একটাই কথা বলি, মার দিলেও সহ্য করতে। মারামারি ও অগ্নিসন্ত্রাস থেকে দূরে থাকতে। আমার কেটলি প্রতীকের বিপুল জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ক্যাম্প পুড়িয়েছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
অভিযোগের বিষয়ে চট্টগ্রাম-১১ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এম. আবদুল লতিফকে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-১১ আসন। দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রক চট্টগ্রাম বন্দর, কাস্টমস, একাধিক ইপিজেডসহ নানা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এই এলাকায় অবস্থিত। এখানে মোট প্রার্থী হয়েছেন ৭ জন। তবে আসনটিতে নৌকার লতিফ ও কেটলির সুমনের মধ্যেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে আভাস মিলছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)