শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির ডাকা অবরোধ শুরু হয়েছে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে ২৪ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়। চলবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত। অবরোধ শেষে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হরতাল পালন করবে দলটি।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে নির্বাচনের তফসিল বাতিল, সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকার গঠন এবং কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সেদিন সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেছিলেন, সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ গ্রেফতার নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও হয়রানি বন্ধের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
ডিসেম্বরে অবস্থান কর্মসূচির পরিকল্পনা আছে জানিয়ে বিএনপির এই মুখপাত্র জানান, সংবাদপত্রের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, অক্সিজেন সিলিন্ডার গাড়ি ও জরুরি ঔষধ পরিবহন হরতাল-অবরোধের কর্মসূচির আওতার বাইরে থাকবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কারাগারে নিয়ে নির্বাচনী সার্কাস করতে দেওয়া হবে না, এবার সফল হবে না।’
বর্তমান সরকারের পতন ও নির্দলীয় সরকারের দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হবার পর থেকে ধারাবাহিক ভাবে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি ও তার সঙ্গে আন্দোলন করা অনেকগুলো রাজনৈতিক দল।
একই দাবিতে ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিলো বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। ব্যাপক সহিংসতার মধ্যে সেই নির্বাচনে জিতে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ।
২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি গণফোরামের ড. কামাল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে ভোটে অংশ নেয়। ভোটে ভরাডুবি হয় বিএনপির। এরপর কারচুপির অভিযোগ তোলে তারা। সংসদের মেয়াদের শেষ দিকে এসে বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করেন।
২০১৪ সালের মতো এবার একই দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি। ফিরে এসেছে সংঘাতের পরিবেশ। যানবাহনে অগ্নিংযোগ আর নাশকতার ঘটনায় জনমনে বাড়ছে উদ্বেগ।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)