শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
মতের মিল হলে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে ঐক্য করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে শাহবাগে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে এক সমাবেশে এ কথা জানান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।
জামায়াতে ইসলামীকে উদ্দেশ্য করে ফয়জুল করীম বলেন, ‘আজকে আমি জামায়াতকে বলবো, আপনাদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ চলে আসছে। আগামীকালই নির্বাচন হবে না। হক্কানী ওলামায়ে কেরামের সাথে আপনাদের যে মতানৈক্য আছে, বসে সমাধান করেন। চমৎকার এক সুযোগ।’
তিনি আরও বলেন, ‘নৈতিক ও আদর্শের মিল না থাকলে সাময়িক মিল থাকে না। বিএনপির সঙ্গে আপনাদের চরম দোস্তি ছিল। একইসঙ্গে আন্দোলন, সংগ্রাম করেছেন। কিন্তু আদর্শ ও নৈতিক ও আদর্শের মিল না থাকার কারণে উভয়ের প্ল্যাটফর্ম ভিন্ন হয়ে গেছে। লোক দেখানো কোনো ঐক্য আমরা চাই না। আমরা চাই টেকসই, স্থায়ী ঐক্য, যে ঐক্য কোনোদিন ভাঙবে না, ফাটল ধরবে না। এজন্য আমি জামায়াতকে বলব, আমাদেরকে কোনো রকম বুঝিয়ে শুনিয়ে এই নির্বাচনের তরী পাড়ি দেবেন, এটা আমাদের দ্বারা সম্ভব না।’
জামায়াতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির বলেন, ‘আপনারা আসুন, বসুন। হক্কানী ওলামায়ে কেরামের সাথে মতানৈক্য মিটিয়ে আমরা টেকসইভাবে ঐক্যবদ্ধ হবো, যে ঐক্য কেউ ভাঙতে পারবে না। ইনশাআল্লাহ আগামী রাষ্ট্র হবে ইসলামী রাষ্ট্র।’
এ সময় তিনি বলেন, ‘আগামী বাংলাদেশ ইসলামী মৌলবাদীদের বাংলাদেশ। আগামী বাংলাদেশ কোরআন ও সুন্নাহর বাংলাদেশ। আগামী বাংলাদেশ এ দেশের স্বাধীনতাকামীদের বাংলাদেশ। আগামী বাংলাদেশ ধর্মীয় ব্যক্তিদের বাংলাদেশ। আগামী বাংলাদেশ সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার বাংলাদেশ। আগামী বাংলাদেশ হবে বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ, এখানে থাকবে না কোনো ভেদাভেদ। এখানে কোনো বৈষম্য দেখতে চাই না। এখানে সবার অধিকার থাকবে। সম্মিলিতভাবে এ দেশটাকে গড়তে হবে।’
ফয়জুল করীম বলেন, ভারত ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে আমাদের দেশকে মরুভুমি করেছে। আজও ফারাক্কা ও তিস্তা নিয়ে কোনো সমাধান হয়নি। ভারত থেকে যে খাল ও নদীগুলো বাংলাদেশে এসেছে তার ন্যায্য অধিকার আমরা পায়নি। ভারত আমাদের প্রতি বছর পানি দিয়ে আমাদের হত্যা করার চেষ্টা করছে।
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে হবে জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এ সিনিয়র নায়েবে আমির বলেন, সব ধর্মীয় বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে শিক্ষার সিলেবাস তৈরি করতে হবে। বর্তমান সরকার আলেম ওলামা ও জ্ঞানীদের দিয়ে নতুন শিক্ষা কমিশন করতে হবে। ৯২ শতাংশ মানুষের চিন্তা চেতনা বাদ দিয়ে কোনো সিলেবাস হতে পারে না। মুসলিমদের চিন্তাচেতনা বিরোধী কোনো সিলেবাস চলবে না।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)