বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১


হত্যাকাণ্ড বেড়ে যাওয়ার কারণ নিয়ে যা বলেছেন মহানবী (সা.)

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত:১২ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৩৪

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

মানুষ হত্যা কবিরা গুনাহ। বর্তমানে প্রতিনিয়ত হত্যা, খুন, গুমের ঘটনা বেড়ে চলেছে। অথচ আল্লাহ তায়ালা মানুষ হত্যাকে মানব জাতির হত্যা বলে অভিহিত করেছেন। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে—

‘এ কারণেই আমি বনি ইসরাঈলের ওপর এই হুকুম দিলাম যে যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করা কিংবা জমিনে ফাসাদ সৃষ্টি করা ছাড়া যে কাউকে হত্যা করল, সে যেন সব মানুষকে হত্যা করল। আর যে তাকে বাঁচাল, সে যেন সব মানুষকে বাঁচাল। আর অবশ্যই তাদের কাছে আমার রাসুলগণ সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ নিয়ে এসেছে। তা সত্ত্বেও এরপর জমিনে তাদের অনেকে অবশ্যই সীমালঙ্ঘনকারী।’ (সূরা মায়েদা, আয়াত : ৩২)

মানুষ হত্যা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টিকে হাদিসে কিয়ামতের আলামত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। হজরত আবু মুসা আশআরী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)আমাদেরকে বললেন—

কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে ‘হারজ’ হবে। রাবী বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! ‘হারজ’ কী? তিনি বলেন, ব্যাপক গণহত্যা।

কোনো কোনো মুসলমান বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা এখন এই এক বছরে এত মুশরিককে হত্যা করেছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তা মুশরিকদের হত্যা করা নয়, বরং তোমরা পরস্পরকে হত্যা করবে; এমনকি কোন ব্যক্তি তার প্রতিবেশীকে, চাচাতো ভাইকে এবং নিকট আত্মীয়-স্বজনকে পর্যন্ত হত্যা করবে।

কেউ কেউ বললো, হে আল্লাহর রাসূল! তখন কি আমাদের বিবেক-বুদ্ধি লোপ পাবে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, অধিকাংশ লোকের জ্ঞান লোপ পাবে এবং অবশিষ্ট থাকবে নির্বোধ ও মুর্খ।

এরপর আবু মুসা আল-আশআরী রা. বলেন, আল্লাহর শপথ! আমি ধারণা করেছিলাম যে, হয়তো এ যুগ তোমাদেরকে ও আমাকে পেতো, তাহলে তা থেকে আমার ও তোমাদের বের হয়ে আসা মুশকিল হয়ে যেতো, যেমন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের জোর দিয়ে বলেছিলেন যে, আমরা ওই অনাচারে যতো সহজে জড়িয়ে পড়বো তা থেকে আমাদের নিষ্ক্রমণ ততোধিক দুষ্কর হবে। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৯৫৯)

হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী শেষ যুগে মানুষ খুব বেশি বেপরোয়া হয়ে পড়বে, মূর্খতা ও সীমালঙ্ঘন তাদের এতটা পশু বানিয়ে দেবে যে তারা কোনো কারণ ছাড়াই খুন-খারাবিতে জড়িয়ে পড়বে। এমনকি হত্যাকারীও জানবে না যে সে কেন হত্যা করেছে, যাকে হত্যা করা হয়েছে সেও বুঝে উঠতে পারবে না যে তাকে ঠিক কেন হত্যা করা হয়েছে।

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)
আরো পড়ুন

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

নামাজের সময়সূচি

ওয়াক্ত সময়সূচি
ফজর ০৫:২০ ভোর
যোহর ১২:১৩ দুপুর
আছর ০৪:১২ বিকেল
মাগরিব ০৫:৫১ সন্ধ্যা
এশা ০৭:০৫ রাত

বুধবার ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫