বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১
ছবি সংগৃহীত
রমজানে রাত্রিকালে এশার নামাজের চার রাকাত ফরজ ও দুই রাকাত সুন্নতের পর এবং বিতর নামাজের আগে দুই রাকাত করে ১০ সালামে যে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা হয়, একে ‘তারাবি নামাজ’ বলা হয়। তারাবির নামাজের সময় হলো- এশার নামাজের পর থেকে ফজরের নামাজের আগ পর্যন্ত।
হজরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রমজান সম্পর্কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি রমজানে ঈমানের সাথে সওয়াব লাভের আশায় কিয়ামে রমজান অর্থাৎ তারাবির নামাজ আদায় করবে তার পূর্ববর্তী গোনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হবে। (বুখারি, হাদিস, ১৮৭৯)
রমজান মাসে এশার নামাজের পর তারাবি নামাজ আদায় করা হয়। তারাবির পর বিতর নামাজ পড়া হয়। তবে কেউ যদি কখনো ভুলে তারাবির আগে বিতর নামাজ পড়ে ফেলে তাহলে তার নামাজ হয়ে যাবে। এর কারণে তারাবি আদায়ে কোনো সমস্যা হবে না।
আলেমদের মতে, উত্তম হল বিতিরের নামাজ তারাবির পর আদায় করা। তবে তারাবির আগে বিতির পড়ে ফেললেও পরে তারাবি নামাজ আদায় করা যায়। কারণ, তারাবির সময় সুবহে সাদিক পর্যন্ত থাকে।
(ফাতাওয়া খানিয়া ১/২৩৫; আলহাবিল কুদসী ১/২৪৮; মুখতারাতুন নাওয়াযিল ১/৩৩৮; আলইখতিয়ার ১/২৩৯; আলবাহরুর রায়েক ২/৬৭)
আলেমদের মতে, কারো শেষ রাতে জাগ্রত হওয়ার নিশ্চয়তা থাকলে তাহাজ্জুদের সময় বিতির পড়া উত্তম। তবে শেষ রাতে জেগে বিতর পড়তে না পারার আশঙ্কা থাকলে, শুরুর রাতে পড়ে নেওয়া জরুরি। না হয়, শেষ রাতে তাহাজ্জুদ পরে এরপর বিতর আদায় করে নেওয়া উত্তম।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)