সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
হায়েজ, মাসিক, ঋতুস্রাব বা পিরিয়ড নারীদেহের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। প্রতি মাসে সঠিক সময়ে মাসিক শুরু হওয়ার মাধ্যমে নারীর শারীরিক সুস্থতা ও সন্তান ধারণে সক্ষমতা নিশ্চিত হয়।
ইসলামী শরিয়তের বিধান অনুযায়ী একজন নারীর ঋতুস্রাবের (পিরিয়ড) সর্বনিম্ন সময় তিন দিন আর সর্বোচ্চ সময় ১০ দিন।
তিন দিন থেকে ১০ দিন পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদে মাসিক ঋতুস্রাবকালীন (পিরিয়ড) নামাজ-রোজা করার প্রয়োজন নেই। এই দিনগুলোতে নারীর যথাসাধ্য বিশ্রাম দরকার। এ জন্য এই দিনগুলোতে ইসলাম নারীকে নামাজ-রোজা থেকে দায়মুক্তি দিয়েছে।
কোনো কারণে ঋতুস্রাবের সময় (পিরিয়ড) ১০ দিনের চেয়ে বেড়ে গেলে নিজের আগের অভ্যাস অনুপাতে যে মেয়াদ আছে, ওই দিন পর্যন্ত বন্ধ রেখে এর পর থেকে নামাজ-রোজা পালন করবে।
আর যদি ১০ দিনের ভেতরই শেষ হয়ে যায়, তাহলে রক্ত আসার শেষ দিন পর্যন্ত ঋতুস্রাব (পিরিয়ড) গণ্য করে নামাজ-রোজা ইত্যাদি বন্ধ রাখবে। এ অবস্থায় নামাজের কাজা না থাকলেও পরবর্তী সময়ে রোজা কাজা করে নেবে। (আদ্দুররুল মুখতার : ১/৩০০-৩০১)
পিরিয়ড বা ঋতুস্রাবের সময় কোরআন তেলাওয়াত ছাড়া যাবতীয় জিকির-আজকার ও দোয়া-দরুদ পড়া যাবে। এতে কোনো সমস্যা নেই।
এ ছাড়া কোরআন মাজিদের যে সকল আয়াতে দোয়ার অর্থ রয়েছে ঋতুমতী নারীর জন্য দোয়ার নিয়তে সেগুলোও পাঠ করা জায়েজ আছে। তাই কোনো নারীর ঋতুস্রাব হলেও তিনি জিকির-আজকার করতে পারবেন।
(আদদুররুল মুখতার ১/৫৩৬; ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া ১/৩৮)
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)