রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি- সংগৃহীত
৭ মাসে কোরআনের হাফেজ হয়েছে নোয়াখালীর হাতিয়ার ছোট্ট ছালমা আক্তার। ছালমার বয়স মাত্র ১২ বছর। সাধারণত একজন শিক্ষার্থীর হাফেজ হতে সময় লাগে দুই থেকে আড়াই বছর। ছালমার সময় লেগেছে ৭ মাস বা ২১০ দিন।
ছালমা আক্তার ছারোয়ার হোসেন ও আমেনা বেগম দম্পতির কন্যা। সে হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের স্থানীয় মারকাযুল কুরআন মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। ভবিষ্যতে একজন দ্বীনদার আলেম ও মুহাদ্দিস হওয়ার ইচ্ছা ছালমা আক্তারের। তার এই অর্জনে খুশি বাবা-মা ও শিক্ষক-সহপাঠীরা। এই অর্জনের কারণে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ তাকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, মহান আল্লাহর বিশেষ মেহেরবানীতেই ছালমা এত অল্প সময়ে হিফজ শেষ করতে পেরেছে। এটি শুধু তার পরিবার নয়, গোটা এলাকার জন্য গর্বের বিষয়। তারা আশা করছেন, ছালমার এই কৃতিত্ব আরও অনেক মেয়েকে ইসলামী শিক্ষায় উৎসাহিত করবে।
ছালমার বাবা ছারোয়ার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মেয়েটার ইচ্ছা আল্লাহ পূরণ করেছেন। এজন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। মেয়েটাকে ভালো কিছু দিতে পারিনি, খুব কষ্ট করেছে সে। দোয়া করি সে আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
নিজের সাফল্য প্রসঙ্গে ছালমা আক্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিক্ষক এবং মা–বাবা আমার জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন। তাদের সহযোগিতা ছাড়া আমি কিছুই করতে পারতাম না। আমার এই অর্জন যেন অন্য মেয়েদেরও হাফেজ হতে অনুপ্রাণিত করে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
মাদরাসার প্রধান হাফেজ মাওলানা রাকিবুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৩০ জন ছাত্রী নিয়ে মাদ্রাসার কার্যক্রম শুরু করি। এর মধ্যে ছালমা মাত্র সাত মাসে কোরআন হিফজ শেষ করেছে। এটি নিঃসন্দেহে আল্লাহর রহমত। আমরা দোয়া করি, সে যেন বড় আলেম হয়ে দ্বীনের খেদমত করতে পারে।
তিনি আরও বলেন,ছোট্ট এই মেয়ে প্রমাণ করেছে—দৃঢ় মনোবল ও কঠোর পরিশ্রম থাকলে অসম্ভব বলে কিছু নেই। ছালমার অর্জন আজ শুধু হাতিয়া নয়, সমগ্র নোয়াখালীর মানুষের কাছে গর্ব ও অনুপ্রেরণার। শিক্ষার্থীদের দক্ষভাবে গড়ে তুলতে এখানে হিফজের পাশাপাশি বাংলা, ইংরেজি, আরবি শিক্ষারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)