শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২
প্রতীকী ছবি
ইসলামী চান্দ্রবর্ষের পঞ্চম মাস জমাদিউল আউয়াল। মুসলিম ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ সময়। চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে এই মাসে ২৯ বা ৩০ দিনের হয়ে থাকে।
জামাদশব্দের অর্থ শুষ্ক, অনাবৃষ্টিপ্রবণ বা উষর ভূমি। এ থেকে মাসটির নামের উৎপত্তি। অর্থাৎ এটি এমন এক সময়কে নির্দেশ করে যখন আরবের ভূমি শুকনো ও বৃষ্টিহীন থাকত।
জমাদিউল আউয়ালের ঐতিহাসিক গুরুত্ব
ইসলামী ইতিহাসে এ মাসে সংঘটিত হয়েছে কয়েকটি বড় ঘটনা। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মুতার যুদ্ধ। এই যুদ্ধ সিরিয়ার মুতা শহরে সংঘটিত হয়। প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সা.) নিজে এই যুদ্ধে অংশ নেননি; এই যুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর নেতৃত্ব দেন হজরত যায়েদ ইবন হারিসা (রা.)। এ যুদ্ধে তিনি শাহাদতবরণ করেন।
এই মাসেই নবী করিম (সা.)-এর প্রথম স্ত্রী হজরত খাদিজা (রা.)–এর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ইসলামী ইতিহাসে আরও কয়েকজন সাহাবি ও নবী পরিবারের সদস্যের শাহাদতও সংঘটিত হয় এই মাসে। যেমন হজরত যায়েদ (রা.), হজরত জাফর ইবন আবি তালিব (রা.) এবং হজরত আবদুল্লাহ (রা.)। এই মাসেই দাদা আব্দুল মুত্তালিবকে হারান প্রিয় নবী (সা.)।
ইসলামী পঞ্জিকা প্রবর্তনের ক্ষেত্রেও এই মাসের ঐতিহাসিক ভূমিকা রয়েছে। খলিফা হজরত ওমর ইবন খাত্তাব (রা.) ৬৩৮ খ্রিষ্টাব্দে ইসলামী ক্যালেন্ডার চালু করেন। সাহাবিদের পরামর্শে তিনি হিজরাহ বা নবীজির মক্কা থেকে মদিনায় গমনের ঘটনাকে ইসলামী বর্ষ গণনার সূচনাবিন্দু হিসেবে নির্ধারণ করেন।
জমাদিউল আউয়ালের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা
সূত্র : দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)