সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
হারাম দিনগুলো ছাড়া বছরের অন্য দিনগুলোতে নফল রোজা রাখা যায়। দুই ঈদের দিন এবং কোরবানির পরের তিন দিন—এই পাঁচ দিন রোজা রাখা হারাম। মাহে রমজানের রোজা রাখা ফরজ। বাকি যেসব দিনে রাসুলুল্লাহ (স.)-এর কাছে নফল রোজার গুরুত্ব ছিল এবং তিনি রোজা রাখতেন সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো।
সোম-বৃহস্পতিবারের রোজা-
নবীজি (স.) সোমবার আর বৃহস্পতিবার রোজা রাখতেন। এই দুই দিন রোজা রাখার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (স.) বলেছেন, সোমবার ও বৃহস্পতিবার আল্লাহর কাছে বান্দার আমল পেশ করা হয়। আর আমি পছন্দ করি, আমার আমল এমন সময় পেশ করা হোক, যখন আমি রোজাদার। (সুনানে তিরমিজি: ৭৪৭) সোমবারে রোজার গুরুত্ব সম্পর্কে নবীজি বলেছেন, এই দিনে আমার জন্ম হয়েছে, এই দিনে আমাকে নবুয়ত দেওয়া হয়েছে। (সহিহ মুসলিম: ১১৬২)
আইয়ামে বিজের রোজা-
প্রতি চান্দ্রমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের রোজার বিশেষ ফজিলত হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে। এই দিনগুলোকে ইসলামি পরিভাষায় ‘আইয়ামে বিজ’ বলা হয়। আবু জর (রা.)-কে নবীজি (স.) বলেছেন, তুমি যদি প্রতি মাসে তিনটি রোজা রাখতে চাও, তাহলে ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখো। (সুনানে তিরমিজি: ৭৬১) এ ছাড়া মাসের যেকোনো তিন দিন রোজা রাখলে সারাবছর রোজা রাখার সওয়াব হবে মর্মেও হাদিস বর্ণিত হয়েছে। (সুনানে তিরমিজি: ৭৬২)
শাওয়াল মাসের ৬ রোজা-
নবীজি (স.) বলেছেন, যে রমজানের রোজা রাখার পর শাওয়ালের ছয় রোজা রাখে, সে যেন সারা বছর রোজা রাখল। (সুনানে তিরমিজি: ৭৫৯)
আরাফার দিনের রোজা-
আরাফার দিন হলো জিলহজের ৯ তারিখ, কোরবানি ঈদের আগের দিন। এই দিনের রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে নবীজি (স.) বলেছেন, যে আরাফার দিনে রোজা রাখল, আমি আল্লাহর কাছে আশা রাখি, আল্লাহ তাআলা তার আগের এক বছর এবং পরের এক বছরের গুনাহ মাফ করে দেবেন। (সুনানে তিরমিজি: ৭৪৯)
আশুরার দিনের রোজা-
আশুরা হলো মহররমের ১০ তারিখ। এই দিনের রোজা সম্পর্কে নবীজি (স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আশুরার দিন রোজা রাখল, আমি আশা করি আল্লাহ তাআলা তার আগের এক বছরের গুনাহ মাফ করে দেবেন। (সুনানে তিরমিজি: ৭৫২)
অবিবাহিত যুবকদের বিশেষ রোজা-
যেসব যুবকের বিয়ের বয়স হয়ে গেছে অথচ তার কাছে আর্থিক সামর্থ্য নেই, তাকে নবীজি (স.) নফল রোজার রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, হে যুবক সম্প্রদায়! তোমাদের জন্য কর্তব্য হলো বিয়ে করে নেওয়া। কারণ বিবাহ চক্ষু অবনত রাখার এবং লজ্জাস্থান হেফাজত রাখার ক্ষেত্রে অধিকতর সহায়ক। তবে তোমাদের মধ্যে যার বিবাহের সামর্থ্য নেই, তার উচিত রোজা পালন করা। কেননা রোজা যৌন চাহিদাকে অবদমিত করে রাখে। (তিরমিজি: ১০৮১)
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)